হাজারও বছরের বেশি সময় ধরে বাঙ্গালীরা নিয়মিত হলুদ খান। রান্নায় হলুদ নিয়মিত খাওয়া হয়। তবে অনেকেই হলুদের গুনাগুন বলতে শুধু স্কিনের উপকারে কাজে লাগে বলে জানেন। কাঁচা হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে তার গুন অপরিহার্য বলে জানান চিকিৎসকেরা। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলুদ।
ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলুদের গুন অপরিহার্য। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ, গোল মরিচ মিশিয়ে এক টুকরো হলুদ খেতে পারেন। বেশি পরিমাণে খেতে চাইলে বা Termeric Extract খেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কোলেস্টরল কমাতে, রক্তকে পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ। তবে কাঁচা হলুদের পরিবর্তে Termeric Curcumin Extract ১-২ গ্রাম খেতে পারেন। ফ্যাটি লিভার উপকার করেন, হজমশক্তির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, আলসার থেকে পেটের রোগ থাকলে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। নিয়মিত হলুদ মুখে মাখলে, হলুদের সঙ্গে চন্দন মিশিয়ে মাখলে মুখের কালো ভাব কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কাঁচা হলুদ বাঁটা বা গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যায়। তবে হলুদের Active ingredient বেশি করে পেতে Termeric Extract খেতে পারা যাবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। Termeric Extract খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে Termeric Extract স্কিনের জন্য না ব্যবহার করাই ভাল।
নিয়মিত হলুদ খেলে হার্ট ব্লকেজ দূর হতে পারে, স্কিনের তারুণ্য ধরে রাখতে পারে, ব্রেন ভাল রাখে এবং হজম করতে সাহায্য করে।
সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে কাঁচা হলুদ, শুধু সুগার নয়, মেদ কমাতে, হার্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে, সুস্থ থাকবে সারা শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কাঁচা হলুদ ২গ্রাম গোল মরিচ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়ম করে এক টুকরো কাঁচা হলুদে শুধু স্কিন নয় ইমিউনিটি থেকে শুরু করে, হার্ট, স্নায়ু, লিভার ভাল রাখে এমনকি ক্যানসারের সম্ভাবনা পর্যন্ত কমতে পারে। Thyroid থাকলে নিয়মিত হলুদ খেতে পারা যায়, কিন্তু কীভাবে কতটা খাবেন তা একবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।