পৃথিবীর প্রকৃতি যেমন অদ্ভুত, তেমনি পৃথিবীর মানুষের মনও অদ্ভুত। প্রতিটি মানুষের চাওয়া-পাওয়া বা ভাললাগা মন্দলাগা আলাদা। কেউ গ্রাম ছেড়ে শহরে যায়, দেশ ছেড়ে বিদেশে যায়, আবার কেউ বিদেশ থেকে দেশে ফেরে। তেমনি শহুরে সভ্যতা ছেড়ে নির্জন দ্বীপে বসবাস করতে ভালবাসে। পুরানো দিনে কাউকে শাস্তি হিসেবে দ্বীপান্তরিত করা হতো। অথচ বর্তমান সময়ে কেউ কেউ আছেন যারা স্ব-ইচ্ছায় দ্বীপান্তর হন। তেমনই এক সৌখিন দম্পত্তির খোঁজ মিলেছে ইন্দোনেশিয়ায়।
২০১১ তে ওই দম্পতির বন্ধু জানিয়েছিলেন এই সম্পত্তির কথা। দম্পতির কথায় তাঁরা এমন জায়গা খুঁজছিলেন যেখানে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। সেই খুঁজতে গিয়েই বালির এই দ্বীপের কথা মনে হয় তাঁদের৷ থাকেন আমেরিকায়৷ আর আস্ত দ্বীপ কিনলেন ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। কোনওদিন এসে থাকবেন কি না তারও ঠিক নেই। অথচ সেই জায়গা কিনে বানিয়ে ফেললেন এক স্বর্গীয় উদ্যান।
যদিও নিজেদের পরিচয় দিতে চাননি তাঁরা। বন্ধুর কথায় প্রপার্টি কিনেছেন জানেনও না যে তারা আসলে কিনেছেন একটি মরূদ্যান।
দম্পতির কথায় তারা যখন ওই ভিলায় প্রবেশ করেন সেখানে কোনও শব্দের উপস্থিতি পাননি তারা। যদিও গোটা প্রপার্টি তারা নতুন করে সাজিয়েছেন।
যেখানে এক একটি ভিলা এক একটি বেডরুম। অগাধ জায়গা। এছাড়াও অতিকায় লিভিং এরিয়া, ডাইনিং এরিয়া রয়েছে। আর রয়েছে বিশাল সুইমিং পুল।
ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি মেনেই এই বাড়ি পুনর্নির্মাণ করেছেন মার্কিন দম্পতি। স্থানীয় কর্মীদের দিয়েই সে কাজ করিয়েছেন। এছাড়াও আলাদা ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ও আনিয়েছেন।
মরুদ্যান, জঙ্গলের মাঝে সুবিশাল বাড়ি যেন স্বর্গ। ডিজাইনার জানিয়েছেন এই কাজ করতে তাকেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে।