ঢাকা, ১৪ মার্চ ২০২৫: দেশব্যাপী নারী ও শিশু ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ন্যায়বিচারের দাবিতে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১৪ মার্চ শুক্রবার সকালে জাতীয় ঢাকা প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিতে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সোমালিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আসিফ মিজান, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন,জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসাইন ঈসা। বিশেষ আলোচক ছিলেন, রুপসী বাংলা টিভির প্রধান উপদেষ্টা আলী নিয়ামত। বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ মনিরুল ইসলাম।
এতে আরও বক্তব্যে রাখেন, এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক মোঃ ফরিদ গাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ মহিন সরদার, বনানী থানা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ শান্ত, বনানী শাখা মহিলা কমিটির সভাপতি জোছনা নাহার, সাধারণ সম্পাদক নাছিমা গাজী, মোঃ আবু জাফর দেওয়ন,মোঃ শাকিল, ফারহানা আজম রেশমী, মুন্নী আক্তার সহ মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক আন্দোলনের কর্মী, শিক্ষার্থী, পেশাজীবী এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
এই সময় আলোচবৃন্দরা ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দ্রুত বিচার ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
মানববন্ধনে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন “আমরা আর চুপ করে থাকব না। প্রতিদিন নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই—ধর্ষণের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসমাগমস্থলে সিসিটিভি স্থাপন, গণপরিবহনে মনিটরিং ব্যবস্থা ও স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা জরুরি।”
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যা প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন হয়ে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভকারীরা “নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করো”, “দ্রুত বিচার নিশ্চিত করো”, “ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এই সময় তারা নিম্নলিখিত দাবিগুলো তুলে ধরেন—
ধর্ষণের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন ও ছয় মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা।
ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর জন্য পুনর্বাসন ও বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান।
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল-কলেজে বাধ্যতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা।
পরিশেষে এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন ঘোষণা দিয়েছে, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার দাবিতে তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।