জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় সাধারণত নীতিনির্ধারক এবং রাজনীতিবিদরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বিশ্বের হাই-প্রোফাইল সেলিব্রিটিরা এই মঞ্চে উপস্থিত হয়। ঠিক সেই মঞ্চে বিটিএস ব্যন্ড সদস্যদের অংশগ্রহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন এবং তাদের অনবদ্য উপস্থাপনা ছিল নজর কারা।
এ সময় বিটিএস ব্যান্ড সদস্যরা ভ্যাকসিন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে একটি ভিডিও আপলোড করে তখন একই সাথে ৯০ হাজারেরও বেশি দর্শক টিউন করে। এছাড়া অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল এবং প্ল্যাটফর্মে আরও হাজার হাজার দর্শক ভিডিওটি দেখতে সংযুক্ত হয়।
বিটিএস ব্যন্ডের সাত সদস্য-জিন, সুগা, জে-হোপ, আরএম, জিমিন, ভি এবং জংকুক। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। ভয়াবহ করোনা মহামারীতে তাদের নতুন অভিজ্ঞতা এবং তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তুলে ধরেছে। এমনকি সারাবিশ্বের কিশোর -কিশোরী যারা বিটিএস এর ভক্ত তাদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়েছে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা। যে সময়গুলিতে তারা স্টেজ পারফর্মেন্স করতে পারেনি সেই সমটা তারা সারা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের উপর পড়াশুনা করেছে। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চেষ্টা করেছে কিভাবে এই জলবায়ূ পরিবর্তন থেকে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সুন্দর পৃথিবী তৈরি করা সম্ভব।
কে- (কোরিয়ান) পপ বক্ত এবং ভিডিও পারফরম্যান্সের সময় তারা চ্যাটকে এতটাই নিষ্ঠুরভাবে গ্রহণ করেছিল যে অন্যান্য ব্যবহারকারীরা তাদের বিশ্বব্যাপী নেতাদের বৈঠকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল, যারা স্থায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করতে জড়ো হয়েছিল।
তারা বলেন,আমরা সাতজন টিকা পেয়েছি। আমরা যদি ভ্যাকসিন না নিতাম তাহলে আজকের এই সফর এবং অনুরাগীদের সাথে দেখা করতে পারতাম না।
সাত মিনিটের বক্তব্যের পর, “পারমিশন টু ডান্স” নামের হিট গানের সঙ্গে ভিডিও পারফরম্যান্স দেখিয়েছে প্রচার করে। ভিডিওতে দেখা যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হল জুড়ে বিটিএস সদস্যদের নাচ। এ ভিডিও বিষয়ে বিটিএস মন্তব্য করেন গানটি অবশ্যই দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে।
বিটিএস সদস্যদের চলে যাওয়ার পর জাতিসংঘের ইউটিউব চ্যানেলটি দর্শক ৫০,০০০ এরও কম চলে আসে ।