কুড়িগ্রামের সীমান্তে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ফেলানী খাতুনের পরিবার সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পেয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশনায় আর্থিক সহায়তা ও ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয় তার পরিবারের হাতে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকালে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামের হাতে চেক ও ঈদ উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নুসরাত সুলতানা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফিরুজুল ইসলাম এবং জেলা সমাজসেবা দপ্তরের উপ-পরিচালক মুহ. হুমায়ুন কবির।
ঈদ উপহার হিসেবে ফেলানীর পরিবারের জন্য জেলা পরিষদ থেকে ৩০ হাজার টাকার একটি চেক এবং জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ঈদের পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। উপহার গ্রহণ করে ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ঈদে নগদ টাকা ও পোশাক পেয়ে খুব ভালো লাগছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারবো। উপদেষ্টা স্যারসহ সবার জন্য দোয়া করবো। আর আমার মৃত মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত হন ফেলানী খাতুন। সীমান্তে নিরাপরাধ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে তার মৃত্যু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবার ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছে