তৃতীয় মেয়াদে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ এবং সিবিসি নিউজের টেলিভিশন জরিপে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
কানাডায় আগাম জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হলেও তার ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে তার আগেই টেলিভিশন জরিপে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ধারণা করা হচ্ছে ট্রুডোকে।
সদ্যসমাপ্ত ভোটে প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির সাথে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে জয়ের মালা গলায় দেয়ার দিক দিয়ে ট্রুডোকেই অগ্রসর মনে করছে জরিপের দেয়া তথ্য। তবে জরিপগুলো স্পষ্ট করে বলতে পারেনি, কোন কোন এলাকাগুলোর মাধ্যমে ট্রুডোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমও বলছে, দেশটির ৪৪তম সাধারণ নির্বাচনে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ট্রুডোর। বর্তমান সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য দলের আইনপ্রণেতাদের ওপর নির্ভর করতে হয় তার সরকারকে। মূলত করোনা মোকাবেলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং টিকা সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা বাস্তাবায়নে আগাম নির্বাচন দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
মনে করা হচ্ছে, ট্রুডোর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্যই তাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় কানাডাবাসী।
সদ্য শেষ হওয়া ভোটে সংসদে ৩৩৮ আসনের বিপরীতে ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭০ লাখ। এককভাবে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন কমপক্ষে ১৭০টি আসন।
আইনসভার নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সের ৪৪তম নির্বাচন এটি। আটটি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে এবারের নির্বাচনে। ৩৩৮ আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২ হাজার ১০ জন প্রার্থী। চলতি এ নির্বাচনকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
করোনা মহামারিকালে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় আগাম নির্বাচনের ডাক দেন তিনি। তবে জনমত বলছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নির্বাচিত হবে না কোনো দল। ২০১৫ সাল থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাস্টিন ট্রুডো।