Crime News tv 24
ঢাকামঙ্গলবার , ৮ এপ্রিল ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হ্যাশট্যাগে বিপ্লব খুঁজা জাতির নাম বাঙ্গালী, এ জাতি বিপ্লবের নামে ভাংচুর লুটপাটে বিশ্বাসী

এইচ এম হাকিম নিজস্ব প্রতিবেদক:-
এপ্রিল ৮, ২০২৫ ৩:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ এ নামটি সৃষ্টি হয়েছে ১৯৭১ সনে রক্তের বিনিময়ে, বাঙ্গালী এমন একটি জাতি যাদের দাবায়ে রাখতে পারিনি কোন পরাশক্তি।

এ জাতি বিপ্লবে বিশ্বাসী, ইসলামের জন্য যে কোন সময় নিজের জীবন দিতেও প্রস্থুত।কিন্তু আমরা বাঙ্গালী জাতি কোন কাজ করা উচিৎ আর কোনটা করা উচিৎ নয় এটাই এখনো বুঝে উঠতে পারিনাই।
চিল একজনের কান নিয়ে চলে গেছে এই কথা শুনেই আমরা সঠিকটা না জেনে চিলের পিছনে ছুটে চলি, ইসলামি আবেগ দেখানোর নামে অন্যর প্রতিষ্ঠান হরিলুট করি, এই শিক্ষা কখনো ইসলাম আমাদেরকে দেয়নাই।
ইসরায়েলি কোম্পানি বা ইহুদী মালিকানা না হওয়া সত্ত্বেও Bata’র প্রতি ক্ষোভের কারণ জানেন তো?
১৯৭০ সালে তিনি প্রথম ঢাকায় আসেন। বাটা স্যু কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭১ সালের প্রথম দিকে বাটা জুতার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে টঙ্গীর কারখানায় নিয়োগ পান।
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটের নামে গণহত্যা চালায়। সে সময় তিনি সেই রাতের ভয়াবহতার কিছু ছবি তুলে পাঠান আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
বাটা স্যু কোম্পানীর মত বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়াতে অবাধ চলাচল ছিল সর্বত্র। সেই সুযোগে তিনি সম্পর্ক গড়ে তোলেন টিক্কা খান, রাও ফারমান আলী, নিয়াজিদের সাথে। আর অন্য দিকে প্রধান সেনাপতি কর্নেল এমএজি ওসমানীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তারপর সব তথ্য ফাঁস করে দিতেন।

তারপর নিজেই বাটার শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করে টংগীসহ সেক্টর ১ এবং ২ নম্বরে গড়ে তোলা গেরিলা বাহিনীকে নিজ দায়িত্বে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি নিজেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর নিজেই জীবন বিপন্ন করে বাংলাদেশের যুদ্ধে নেমে পড়েন। তিনি বাঙ্গালী যোদ্ধাদের নিয়ে টঙ্গী-ভৈরব রেললাইনের ব্রীজ, কালভার্ট ধ্বংস করে পাক বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করতে থাকেন।

সে সময় তিনি ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাইকমিশনের গোপন সহযোগিতা পেতেন। রক্তক্ষয়ী নয়মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে টঙ্গীতে ফিরে আসেন বিজয়ীর বেশে।
১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশেই ছিলেন, তারপর নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান। তিনিই একমাত্র বিদেশী বাংলাদেশী যিনি মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” খেতাব পান। এই মহান মানুষটির নাম “উইলিয়াম এ এস ঔডারল্যান্ড”। ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজকে বাটার শোরুম ভাঙ্গচুর, জুতা চুরি ও লুটপাট করে অকৃতজ্ঞ বেঈমান পাকিস্তানি ডিএনএ’র দোসররা সেই প্রতিশোধ নিল!
কিন্তু আমরা ফিলিস্তিন বাসির জন্য চার আনার কাজে লাগতে পারিনাই,উল্টো এ জাতি বদনামের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
হ্যা এখানে অনেকে আমাকে কটু কথা বলবেন তা মেনে নিয়েও কয়েকটি লাইন লিখছি, ইসরায়েল কেবল মাত্র ফিলিস্তিন বাসির উপর আঘাত করেনি তারা আঘাত করেছে প্রায় ২ শত কেটি মুসলিমের বুকে। ফিলিস্তিনের মসজিদুল আল আকসা ইসলামের প্রথম কেবলা এ খানে আঘাত মানে পুরো মুসলিম জাতির উপরে আঘাত করেছে।
এই ইহুদি জাতির বিপক্ষে অথবা ফিলিস্তিন বাসির পক্ষে দাঁড়াতে হবে এটাই আমাদের সকলের ইমানী দ্বায়িত্ব। ফিলিস্তিনে যে ভাবে ইসরায়েল ধ্বংস লিলা চালিয়েছে এটা দেখে যে কোন ইমানদার মুসলিম সহ যার এক কিঞ্চিৎ পরিমান মানবতা আছে তার চোখ দিলে ২/১ ফোঁটা পানি পড়বেই।
এই পৃথিবীর ভূখণ্ডে যে কয়টি মুসলিম দেশ রয়েছে সে দেশের প্রধান গন এ পর্যন্ত ফিলিস্তিন এর পক্ষে থেকে যুদ্ধ করবে নরপিচাস ইসরায়েলের বিপক্ষে এমন কোন সংবাদ শুনেছেন কি! বরং ইসরায়েল কে খুশি করতে নানান রকমের কৌশল গত বিব্রতি দিয়েছে কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানগন, যা থেকে আমরা ধরে নিতে পারি ইসরায়েলের কাছে যে কোন দিক থেকে দুর্বল এই মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানেরা।
আমাদের সাধারণ জনগনের উচিৎ ছিলো এই ইসরায়েলের বিপক্ষে ফিলিস্তিনের পক্ষে রাষ্ট্রের প্রধানকে দিয়ে বিব্রতি আদায় করে নেওয়া। আমরা তা না করে আমরা অতি আবেগী হয়ে অন্যর ব্যবসা প্রতিষ্টানে হামলা করে লুটপাট চুরি ভাংচুরসহ বিভিন্ন প্রকারের বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত হচ্ছি, তাতে করে বহিঃবিশ্বের কাছে আমাদের মান ইজ্জত আমরাই নষ্ট করছি।
এ বাঙ্গালী জাতি আজ একটি কথা বলে রাখি এ জাতিকে যদি উন্নতির শেখরে পৌছাতে হয় তা হলে এ দেশের সরকারের উচিৎ হবে এ দেশের প্রতিটি
স্কুলে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তির আলো জ্বালানো,মাদ্রাসায় শেখাতে হবে কোয়ান্টাম তত্ত্ব,কলেজে গড়ে তোলো রোবোটিক্স ল্যাব।
বিজ্ঞানীর মতো ভাবো,মু জা হি দের মতো দাঁড়াও!রকেট বানাও, স্যাটেলাইট ছাড়ো,
চাষ করো নিজস্ব বীজে, বিপ্লব আনো কৃষিক্ষেত্রে।
তৈরি করতে হবে নিজ দেশের প্রযুক্তি নির্ভর সফটওয়্যার,নিজেদের ব্যাংক, নিজেদের অর্থনৈতিক বাজার।অন্য দেশের ডলারের প্রতি নির্ভরশীলতা থেকে বাহির হয়ে আসতে হবে, নিজেদের অর্থনীতির দিকে কঠিন ভাবে নজর দিতে হবে, নিজের মুদ্রায় গর্ব করে বাঁচা শিখতে হবে।

বিপ্লব শুধু ব্যানারে না,বিপ্লব আসে বই হাতে যখন মেধা চুম্বক হয়,যখন শিক্ষা হয় অস্ত্র।

মসজিদে নামাজ আদায় সহ প্রার্থনা করবো,
কিন্তু মগজে রাখতে হবে উদ্ভাবন।দুনিয়ার যুদ্ধ চলে ড্রোনে, কোডে, স্যাটেলাইটে আর আমরা এখনো ! লাঠি নিয়ে নিজেদের বীরত্ব দেখিয়ে চলেছি।
আর আমরা যদি ভয় পেয়ে এসব থেকে পালাতে চাই তা হলে চাতক পাখির মতো হা করে আবাবিল পাখির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।আর এ দিকে ফিলিস্তিনের মতো মুসলিম রাষ্ট্র গুলো ইহুদীরা একে একে দখল নিবে, আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো তা ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের জানা নেই…… সংক্ষেপিত