নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধ:-
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার ১১ নম্বর কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের অবৈধ বালু খেকো ব্যবসায়ীদের রাজত্ব,কিছুতেই কমছেনা, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে রমরমা বালঙ ব্যবসা । এই বালু ব্যবসায়ীদের অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে রাস্তাঘাট সহ পরিবেশের নানান ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে যেন প্রশাসনের কারই মাথা ব্যাথা নেই। কিছুদিন আগে গণমাধ্যম কর্মীগনের উপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা উদয় বাহিনীর আক্রমণের শিকার হতে হয়।
এদিকে এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যাপারে বারবার নিষেধ করার পরও থামছেনা অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর তাণ্ডব। বড় বড় যানবাহন ট্রাক্টর, হ্যান্ডটলি, অবাধে যাতায়াতের কারনে, রাস্তা ঘাট চলার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ৭৬ জন এলাকাবাসী ।নেত্রকোণা সদর উপজেলাধীন ১১নং কে-গাতী ইউনিয়নের ধনাকান্দা হইতে ধামবিহালা বাজার হইয়া দুয়ানী দুধকুড়া প্রবাহিত নদী হইতে অবৈধ পন্থান কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সংরক্ষন করিয়া বিক্রয় করিয়া আসিতেছে। ধনাকান্দা হইতে দুয়ানী দুধকুড়া পাকা রাস্তার উপর ওকার পোড ট্রাক, ড্রাম ট্রাক ও পড়ি চলাচলের কারণে জনজীবনে বাঁধা-বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত বালু ভর্তি গাড়িগুলো চলাচলের কারণে পাকা রাস্তাটি বেঙ্গে যাচ্ছে এবং ফাটল দেখা দিয়েছে। উক্ত রাস্তাটি প্রায় ১মাস পূর্বে পিচকরণ করা হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী ও নয় লোকজনসহ উক্ত বিষয়ে বাঁধা নিষধ করিলে অসাধু ব্যবসায়ীগণ আমাদের নানান রকম হুমকি ধামকি দিয়া আসিতেছে। তাদের এইরূপ আচরণে যেকোন সময় এলাকার শান্তি চঙ্গদহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে। অতএর, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, উপরোক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে অবৈধভাবে বলু উত্তোলন, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের বিষয়টি বন্ধকরণসহ স্থায়ী সমাধানের নিমিত্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সদয় মর্জি হয়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর সাথে মোঠো ফোনে কথা বল্লে তিনি জানান অভিযোগটি তিনি এখনও উনার হাতে পাননি,উইউনোকে ব্যবস্থা নেয়ারকথা বলবেন বলে জানান তিনি।