চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ী (উত্তর পাড়া),এক কৃষকের স্বামীর সর্বস্ব নিয়ে সন্তানসহ পালিয়েছেন স্ত্রী। স্ত্রী ও সন্তানদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন স্বামী মো. রাজিব হাসান ।পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূ টিক টকার মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুন (২০), স্বামী
মো. রাজিব হাসানের দাম্পত্য জীবনে তাদের পুত্র মোঃ হামিম রেজা (০৫ বছরের) একটিছেলেসন্তান আছে বলে জানা গেছে। ইং ০৭/০১/২০২৫ তারিখে সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময়ে আমার স্ত্রী মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুন চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্টে আমার ছেলেকে ডাক্তার দেখানো নাম করিয়া আমার বাড়ির লোকজনদের অগোচরে কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আমার ঘরে থাকা তাহার ব্যবহারিত কাপড়-চোপড় এবং একটি স্বর্ণের চেইন, একজোড়া স্বর্নের কানের দুল, একজোড়া রুলি বালা পণ্যসামগ্রীসহ ৫ বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে যান। ওই দিন সকালে বের হয়ে মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুন দুপুর ১ টার পর বাড়িতে না ফিরলে নিকট আত্মীয়স্বজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন স্বামী রাজিব হাসান। কোথাও খোঁজ না পেয়ে তিনি দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
নিখোঁজ ডায়েরিতে মো. রাজিব হাসান উল্লেখ করেন, যে মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুন (২০), পিং-মোঃ মুকুল আলী, সাং-গোপিনাথপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিগত অনুমান ০৬ (ছয়) বছর পূর্বে ১নং বিবাদীর সহিত আমার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া ঘর সংসার করিতেছিলাম। বিবাহের পর আমাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান মোঃ হামিম রেজা (০৫ বছর) এর জন্ম হয়। বিবাহের পর হইতে আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। বিগত অনুমান ০১ মাস যাবৎ আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের সাথে কারণে অকারণে খারাপ ব্যবহার করিতে থাকে এবং মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিও তৈরি করে, যাহা আমার সম্পূর্ণ অপছন্দনীয়। আমি এরূপ আচারণ ও টিকটক ভিডিও করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে সে আমার সাথে তর্ক বিতর্কে লিপ্ত হয়। এছাড়াও উক্ত ১নং বিবাদী বিভিন্ন সময়ে আমার অগোচরে অজ্ঞাত লোকজনের সহিত মোবাইল ফোনে কথোপকথন এর মাধ্যমে যোগাযোগ করিতে থাকে। আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে পারিয়া দীর্ঘ কয়েকবার তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে আমাদের সবার অগোচরে অজ্ঞাত ব্যক্তির সহিত বিভিন্ন ধরণের কথোপকথন বলিয়া আসিতেছিল।
এমতাবস্থায় উক্ত ঘটনার বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত আবেদন করি। পলাইয়া যাওয়ার ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখনও মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুনঘরে ফিরিয়া আসে নাই। ওইদিন আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইলে নম্বরে কল দিলে মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে সম্ভাব্য স্থানসহ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রী এবং সন্তানের সন্ধান পাওয়া যায়নি। বর্তমানেও খোঁজাখুঁজি অব্যাহত আছে। এ ছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর স্ত্রী-সন্তানের খুঁজে পেতে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মো. রাজিব হাসান। সাংবাদিকদের রাজিব হাসান বলেন, আমার সংসার তছনছ হয়ে গেছে। আমার সব কিছুসহ ছোট ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে আমি একজন কৃষক। স্ত্রী ও ছেলেসন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য কষ্ট করেছি।
এদিকে কৃষক রজিব হাসানের স্ত্রী নিখোঁজের ১৩ দিন পার হয়ে গেলেও কোনও খবর না পাওয়ায় আসলেই নিখোঁজ নাকি পরকীয়া এ নিয়ে নানা গুঞ্জন উঠেছে উপজেলা জুড়ে।দামুড়হুদা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মোছাঃ উম্মে হাবিবা খাতুন টিক টকার কে ধরিয়ে দিতে পারলে দশ হাজার টাকা পুরস্কার দেবে তার স্বামী রাজিব হাসানের মোবাইল নম্বর (০১৭১০-০৭৮৯৮৮)