Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটুদা চন্দ্রবাসের আওয়ামীলীগ নেতা আমানুর ৫ই আগস্টের পর বিএনপিতে ভীড়তে মরিয়া:বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিতর চরম ক্ষোভ অসন্তোষ

admin
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ১০:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা অফিস:-

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের ইসলামের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা হিসাবে এলাকায় সুপরিচিত আমানুর ৫ই আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।জানা গেছে,আমানুর একজন চুল ব্যাবসায়ী।

চুলের ব্যাবসা করে কয়েক বছরে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া আমানুর নাম লেখান রাজনীতির মাঠে।স্বপ্ন দেখেন নাটুদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হবার।সেই আঙ্গিকে চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর এমপির হাত ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উত্থান হয় তার।টগরের নির্বাচনে নিজের গাড়ি  ব্যাবহার করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নৌকায় ভোট চেয়ে ছুটে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রভাব খাটিয়ে হয়ে যান অপ্রতিরোধ্য।

৫ ই আগস্টে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএনপিতে প্রবেশে মরিয়া হয়ে উঠেন আমানুর।বিএনপির বিভিন্ন প্রোগামে যোগদান করে তাক লাগিয়ে দেন সকলকে।ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা তার এ আচরনে চরম ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষ হলেও তেমন কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন নি।দিনে দিনে আরো অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় আমানুরের নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া ও মিছিল মিটিং এর ভিডিও। তার পরেও আমানুরের বিরুদ্ধে কোন বার্তা না পেয়ে হতাশায় ভুগতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।আমানুর নিজেই নিজের টাকায় একটি অফিস খুলে সেটি ইউনিয়ন বিএনপির অফিস বলে চালাতে থাকেন ও তার ক্ষমতার ছড়ি ঘোরাতে থাকেন।এ বিষয়ে জানতে নাটুদা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ওসমান গনির সাথে কথা বললে তিনি জানান আমানুর বিএনপির কেউ না।সে কখনোই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নই।সে আওয়ামীলীগ করে আওয়ামীলীগের নেতা সে।৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালানোর পর সে নিজে বাঁচতে ও তার অপকর্ম ঢাকতে রাতারাতি ভোল পাল্টে নিজেকে বিএনপির নেতা দাবী করে বসেছে।নাটুদা ইউনিয়নে দলীয় ভাবে এখনো ইউনিয়ন বিএনপির কোন অফিস নেই।আমরা অফিস করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।অল্প কিছু দিনের ভিতর আপনারা দেখতে পারবেন।আমানুরের বিতর্কিত কর্মকান্ডের দায় বিএনপি নেবেনা।

সে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে দলের  ভিতর বিভেদ করে সাংগঠনিক ভাবে বিএনপিকে দূর্বল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।আমরা  আমানুরের বিরুদ্ধে জোর তদন্ত দাবী করছি।সে ৫ই আগস্টের পূর্বে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে বাঁধা দিতে কত টাকা সে মাঠে খরচ করেছে।কত টাকা সে সরকারকে ভ্যাট দেই।তা খতিয়ে দেখা হোক।এ  বিষয়ে জানতে আমানুরের মুঠোফোনে বারংবার রিং দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।