ঝালকাঠির নলছিটি থানাধীন পুরান বাজার এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাপ ও ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।এ সময় আহতদের মারধর করে সাথে থাকার নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।এ ঘটনায় মাসুদ সিকদার (৪৯) ও তার ছেলে রাতুর (১৭) গুরুতর জখম হয়।
আহত মাসুদ সিকদার নলছিটির পুরান বাজার এলাকার মৃত সেলিম সিকদারের ছেলে ও রাতুল মাসুদ শিকদারের ছেলে।গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় মল্লিক বাড়ির ঈদগা ময়দানে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নলসিটি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সেখানে গুরুত্বর আহত মাসুদ শিকদারের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা যায়, আহত মাসুদ শিকদারের ছেলে রাতুল শিকদার নলছিটি পৌর এলাকায় ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এবং ছাত্রদলের কমিটিতে পোস্ট পদবি পাওয়ার যোগ্য।বর্তমান নলছিটি পৌরসভার ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায় ফয়সালের অনুসারী না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে চাপের ভিতর রেখে ফয়সাল ও তার বখাটে কিশোর সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ নিয়ে একমাস আগে ফয়সালের ইন্ধনের বখাটেদের সাথে হাতাহাতি হয় রাতুল শিকদারের এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা হাবিব মল্লিকের মা হামলার মধ্যে পড়ে যায় এবং ধাক্কা লাগে।এরপর রাতুল শিকদার দীর্ঘ এক মাস বাড়ির বাইরে থাকার পরে বাড়িতে আসলে গতকাল রাত সাড়ে আটটায় মাসুদ তার ছেলে রাতুল কে নিয়ে হাবিব মল্লিকের মায়ের কাছে মাফ চাওয়াতে নিয়ে যায়।
হাবিব মল্লিকের মার কাছে মাফ চেয়ে আসার পথে মল্লিক বাড়ির ঈদগা ময়দান এর সামনে ওৎ পেতে থাকা বখাটে জাহাঙ্গীরের ছেলে তানভীর, সুজন,ফয়সালের ভাই বাপ্পি সহ অজ্ঞাত ৮-১০ লোহার রড ও পাইপ দিয়ে মাসুদ শিকদার ও রাতুলের উপরে হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিপক্ষরা মাসুদ শিকদার ও রাতুল কে মারধর করে রাতুলের বাবার পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে আহত মাসুদ শিকদার শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।