বাংলাদেশ (ওআইসি) মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের নারী উন্নয়ন সংস্থায় যোগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেদ্দায় অবস্থিত ওআইসির সদর দপ্তরে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী নারী উন্নয়ন সংস্থার সংবিধিতে সই করেন।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
স্বাক্ষরকালে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, ওআইসির নারী উন্নয়ন সংস্থায় বাংলাদেশের যোগদান নারীর ক্ষমতায়ন, নারী-পুরুষ সমতা ও নারীর অধিকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন নারী এবং তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর সরকার প্রধান হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের বুকে একজন জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ নারী কণ্ঠ ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে স্বীকৃত। তার আমলে নারীদের উচ্চশিক্ষা, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন পঞ্চাশে উন্নীত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার সংস্থায় ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য নির্ধারিত। সরকারি চাকরিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে, উচ্চপদে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন।
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নারী কৃষি খাতে ও পোশাক উৎপাদন খাতে কাজ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ নারী কর্মকর্তা কাজ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, নারী উন্নয়ন সংস্থায় যোগদানের ফলে আমরা ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নারী উন্নয়ন বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবো। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আশা করি এ সংগঠন মুসলিম উম্মাহর নারীদের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
নারী উন্নয়ন সংস্থায় বাংলাদেশের যোগদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ওআইসির মহাসচিব বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে ও উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে একটি রোল মডেল। এ সংস্থায় বাংলাদেশের যোগদান যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।