ভান্ডারিয়ার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী গ্রামে বখাটের হামলায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় দক্ষিণ শিয়ালকাঠির দরজা বাড়িতে বসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে রওশনারা বেগম (৫০) আউয়াল হাওলাদার (৬০) ও রেজাউল হাওলাদার (৩৮) নামে তিনজন গুরুত্বর জখম হয়।পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে গুরুতর আহত রওশনারা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত সুত্রে জানা গেছে, আউয়াল হাওলাদার এর সাথে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী জাকির হাওলাদার এর সাথে তুচ্ছ কথা নিয়ে কাটাকাটি হয়।এ সময় উভয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে আউয়ালের মেজো ছেলে রেজাউল হাওলাদার এসে উভয়কে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়।এবং উভয় তাদের বাড়িতে চলে যায়।
আর এই ঘটনার জেরে জাকির হাওলাদারের বখাটে ছেলে রাব্বি, জাকির হাং,ফিরোজ সহ ভারাটে অজ্ঞাত ৮-১০ জন মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় আউয়াল হাওলাদারের বাড়িতে প্রবেশ করে তার ঘরের দরজা ভেঙে রেজাউল হাওলাদার, আউয়াল হাওলাদার ও রওশানারা বেগমকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করে।
পরে আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলেছ ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় রাব্বি, জাকির ও তাদের সাথে থাকা ভাড়াটে লোকজন।এ সময় যাবার পথে বাড়ির দরজায় আউয়াল হাওলাদারের মুদি দোকান ভাঙচুর করে রাব্বি ও জাকির হাওলাদার।এ সময় দোকানে থাকা নগদ ৫৩ হাজার টাকা নিয়ে যায় জাকির ও তার ছেলে রাব্বি।
এ ঘটনার পর আউয়াল হাওলাদার, ও রওশনারা বেগম ভান্ডারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতালের ভিতরে বসেই বকাটে রাব্বি, আউয়াল হাওলাদারকে চড় থাপ্পর মারে। বর্তমানে এ ঘটনায় গুরুতর আহত রওশনারা বেগম শেবাচিমের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে আহত স্বজনরা সাংবাদিকদের জানায় রাব্বি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন এলাকায় একের পর এক অপকর্ম করে আসছিল।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে যাবার পরেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে এই রাব্বি।
এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।