Crime News tv 24
ঢাকাবুধবার , ১২ মার্চ ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দামুড়হুদা লোকনাথপুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

Link Copied!

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লোকনাথপুর বাসট্যান্ড সংলগ্ন জসিমের নবনির্মিত বিল্ডিংয়ের ২য় তলার ছাঁদে ঢালায়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে ছিটকে পরে রক্তাক্ত জখম হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে তার মৃত্যু হয়। নিহত নির্মাণ শ্রমিক হলো, লোকনাথপুর গ্রামের মাঝেরপারার মোসেক উদ্দিন এর বড় ছেলে রিন্টু  (৩০)। স্থানীয় পারিবারিক ও প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জসিম এর বিল্ডিং এ ২য় তালার ছাদ ঢালাই এর কাজ চলছিল। ছাদে ঢালায় কাজ শুরু করার পূর্বেই ঐ বিল্ডিং এর উপর দিয়ে একটি ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইন গিয়েছে। বিল্ডিং এ কাজ করার সময় অসাবধানতার বসে বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে রিন্টুর হাতে থাকা লোহার রড স্পর্শ হলে সজোরে ধাক্কা দেয়। আর বৈদ্যুতিক ঝটকায় রিন্টু দুই তালার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় এবং রক্তাক্ত ভাবে আহত হয়। তার নাক দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরছিল এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত হয়েছিল। এসময় আরও বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলো। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান রিন্টু খুবই ভালো প্রকৃতির ছেলে ছিল। সে তার পিতার চার ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে ছিল। সাংসারিক জীবনে রিন্টু ছিলো বিবাহিত এবং তার দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে জিহাদ (১২) লোকনাথপুর ডিএস দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র এবং ছোট ছেলে জাবির (৯) একই মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। রিন্টু রাজমিস্ত্রির হেলপারী খেটে জীবিকা নির্বাহ করত। সে ছিল গরিব মানুষ, দুই ছেলের লেখাপড়া করাতে তার হিমশিম খেতে হতো।

এখন ছেলে দুটো এতিম হয়ে গেল, তাদেরকে এখন কে দেখবে। বিল্ডিং এর উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার গিয়েছে অথচ বিনা প্রটেকশনে সেখানে কাজ করা একেবারে আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু নয়। কাজের পূর্বে সঠিকভাবে বৈদ্যুতিক তারের বিধিব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি, যার ফলে একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। এখন এতিম ছোট ছোট দুইটা ছেলের দায়িত্ব কে নেবে প্রশ্ন এলাকাবাসীর। বিল্ডিং নির্মাণ সম্পূর্ণ  হয়ে গেলেও ওখানে ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তার থেকেই যাচ্ছে, যার ফলে পরবর্তীতে আবারও বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে গেল। রিন্টু’র পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় আল্লাহর জিনিস আল্লাহ নিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই। তারা কোন কেস মামলায় জড়াতে চায় না। গতকাল বাদ আসর লোকনাথপুর ঈদগাহ মাঠে রিন্টুর জানাজা নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।