সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বাইশ গজের যুদ্ধে আগ্রাসী মানসিকতায় অনেক মিল রয়েছে বিরাট হোহেলির। তাই বরাবরই অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বাড়তি পছন্দ করেন বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি। আর তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোহলির অধিনায়ক হিসেবে সরে দাঁড়ানোর খবর সামনে আসার পরেই ‘কিং কোহলি’কে বিশেষ সম্মান জানালেন মহারাজ।
বিসিসিআই-এর বিবৃতিতে সৌরভ বলেছেন, “বিরাট ভারতীয় ক্রিকেটের প্রকৃত সম্পদ। এবং দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছে। সমস্ত ফরম্যাটে বিরাট সাফল্যের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আরও সুদৃঢ় করার জন্যই বিরাট এমন পদক্ষেপ নিল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ও অধিনায়ক হিসেবে দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। আশা করি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওর অধিনায়কত্বে দল ভাল খেলবে। এবং বরাবরের মতো এবারও বিরাটকে অনেক রান করতে দেখতে পাব।”
কয়েক দিন আগেই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছিল চেতন শর্মার জাতীয় নির্বাচক কমিটি। এরপর হটাৎ কোহলির এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক। তবে শোনা যাচ্ছে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই বিষয়ে সৌরভের সঙ্গে আলোচনা করেন ভারত অধিনায়ক। একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করার সময় মহারাজকে টেলিফোন করেন কোহলি। তখনই বোর্ড প্রধানকে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে দেন তিনি।
মূলত তিন ফরম্যাট থেকে ওয়ার্কলোড কমানোর জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন কোহলি। সেটা তিনি টুইটারে দীর্ঘ বিবৃতিতে জানিয়েও দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করা ও নিজের ক্ষমতা অনুসারে দেশের অধিনায়কত্ব করেছি। তাই আমি গর্বিত। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সব সমর্থককে ধন্যবাদ। সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, কোচ এবং আমাদের জন্য যাঁরা প্রার্থনা করেছেন, সেই সমস্ত ভারতবাসীকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘খেলাধুলায় ওয়ার্কলোড খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত ৮-৯ বছর ধরে ক্রিকেটার হিসেবে ও ৫-৬ বছর ধরে ৩ ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে অসহনীয় চাপ নিতে হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটের দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার আগে আমার কিছুটা সময় দরকার। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে নিজের সর্বস্ব দিয়েছি। এখন ব্যাটসম্যান হিসেবেও নিজের সেরাটা দেব।’
সবার সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাও জানিয়ে দিলেন। কোহলি আরও লিখেছেন, ‘এই কঠিন সিদ্ধান্তে আসতে আমার অনেক সময় লেগেছে। যারা আমার কাছের মানুষ, সেই কোচ রবি শাস্ত্রী এবং রোহিতের সঙ্গে কথা বলেই অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোর্ড সচিব জয় শাহ এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নির্বাচকদের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। নিজের সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েই ভবিষ্যতে ভারতীয় ক্রিকেটকে সেবা করে যাব।’