দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানা পুলিশের এক সফল বিশেষ অভিযানে আন্ত: জেলা চোর ও ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন।
প্রত্যেকেই ফুলবাড়ী থানায় সংগঠিত গরু চুরির দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ :ধারা মতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
গত ১১/০৩/২৫ ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মুহিব্বুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই এস এম আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। বগুড়া জেলার সদর থানার মাটিডালি ও মহিষবাতান এলাকা এবং গাইবান্ধা জেলার পশ্চিম মাস্তা এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আন্ত:জেলা কুখ্যাত গরুচোর ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলা-পশ্চিম মাস্তা, থানা- মো. বাবলু মন্ডলের ছেলে মো. আপেল মন্ডল,( ২৮) বগুড়া জেলার সদর থানার মহিষবাতান এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩১),আদিতমারী, জেলা- লালমনিরহাট, বর্তমান সাং- মাটিডালী, থানার মো: আমিনুল ইসলাম @ নয়ন (৩৯),তাদের নামে পূর্বেও ৫-৬ টি চুরি, ডাকাতি সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
১৯/০৫/ ২৪ রাত প্রায় সাড়ে তিনটায় ধৃত চোর ও ডাকাত দলের ০৩ সদস্য সহ আরো চার-পাঁচজন চোর/ডাকাত ফুলবাড়ী থানার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামে পিকআপ সহ গরু চুরির উদ্দেশ্যে আসে এবং বাদী মাহমুদা বেগম এর বাড়ি থেকে ০২টি গরু এবং ০১টি বাছুর চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ দলের সামনে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা গরু-বাছুর এবং পরবর্তীতে ধাওয়া দিলে পিকআপ রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় গরু বাছুর এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত পিকআপ উদ্ধার করা গেলেও চোর ডাকাত সদস্য ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে ফুলবাড়ী থানা একটি গরু চুরি মামলা দায়ের করা হয়। আলোচিত উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তিগত তথ্যের সহায়তায় ধৃত চোর-ডাকাত দলের সদস্যদের গোবিন্দগঞ্জ ও বগুড়া থেকে অভিযান পরিচালনাপূর্বক গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গরু চুরির দায় স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো দুবৃত্তদের নাম জানায়। মামলাটি তদন্তাধীন, তদন্তের স্বার্থে নামগুলো গোপন রাখা হয়েছে। এ লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ধৃত ০৩ আসামী বিজ্ঞ আদালতে নিজ নিজ দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মো: মারুফাত হুসাইন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণ ও পুলিশের আস্তা ফিরিয়ে আনতে সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় কঠোর ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁরই বিশেষ তত্ত্বাবধানে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল হোসেনের দিক নিদের্শনায় ও এসআই এস এম আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল এ বিশেষ অভিযানে আলোচিত চুরি কুখ্যাত সক্রিয় চোর ও ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।