বার্নেলে পরাজয়ের পর শৌল রজার্স বুঝতে পেরেছিলেন তার আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে পড়েছে। শেষ লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার পর তিনি দু রাত স্বপ্নের মধ্যে কাটিয়েছেন। তিনি মনে করতেন তার ক্যারিয়ার জুড়ে ভীষন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তার অবিশ্বাস্য রকম আত্মবিশ্বাস ছিল। বছরের পর বছর ধরে যখন তিনি কখনো পরাজিত হননি তখন তার এই আত্মবিশ্বাস অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।
ব্রিটিশ এমএমএ যোদ্ধা শৌল রজার্স নতুন পাওয়া আত্মবিশ্বাস পরীক্ষা করবেন জর্জি কারাখ্যানিয়ানের বিরুদ্ধে। ৩৬ বছর বয়সী জর্জি কারাখ্যানিয়ানের বিরুদ্ধে রজার্স তার সাথে ১৯ তম লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচেছন ।
রজার্স বলেন, সে কিছুটা পাগল লোক। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি এই লড়াই যেখানেই হোক আমি তাকে হারাতে পারি। আমার মনে হয় এই লড়াই রাতের লড়াই হবে। এটা একটা ভালো লড়াই হবে। সে এগিয়ে আসতে পছন্দ করে, আমি এগিয়ে আসতে পছন্দ করি।
শৌল রজার্স বলেছেন যে তার শেষ হারের পরে তার আত্মবিশ্বাস পুনরায় আবিষ্কার করার জন্য যাত্রায় যাওয়ার পরে তাকে অনেক আত্মত্যাগ ও পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
রজার্স তার পারফরম্যান্সে এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তার ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছিলেন এবং শুরু থেকেই তার প্রশিক্ষণ পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।
রজার্স শেষ লড়াইয়ের পর নিজের প্রতি খুব হতাশ ছিল। তিনি বলেন, আমি আমার মতো প্রস্তুতি নিইনি, কিন্তু শেষ লড়াই এবং সেই পারফরম্যান্সের পরে আমি সেই বলয় থেকে বেরিয়ে এসেছি। তারপর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমার সাথে আর কখনো এমন হবে না, আমি আর কখনো এমন পারফর্ম করব না।
তিনি ২৫৭ পাউন্ড থেকে নিজেকে ১৪৫ পাউন্ডে নামিয়ে এনেছেন। এখন তিনি নিয়মিত শারীরিক কসরত করছেন। তিনি পুরো প্রশিক্ষণের রুটিন পরিবর্তন করেছেন।
তিনি মানসিকতা বদলেছেন। একজন দারুণ পুষ্টিবিদ পেয়েছেন। তিনি ঘুমের অভ্যাস, খাদ্যাভ্যাস বদলেছে। জীবনের প্রত্যেকটি দিক বদলেছেন শুধুমাত্র ফারফর্মেন্স ভালোর জন্য। তিনি এখন নিজেকে ভিন্ন ভাবে অনুভব করেন।
যুক্তরাজ্যের বাড়িতে রজার্সের স্ত্রী ও দুটি ছোট বাচ্চা রয়েছে। তিনি চলে আসার সময় তাদের বলে এসেছেন পরবর্তী লড়াইয়ের পরে ফিরে আসবেন।
৩১ বছর বয়সী রজার্স মনে করেন যোদ্ধা হন তখন ভারসাম্য থাকে না। পরিবারের আশীর্বাদ নিয়ে লড়াইয়োর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। সূত্র: বিবিসি