খাগড়াছড়িতে ‘ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ’- এর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন, ১৪তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে শহরের খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শাপলা চত্বর ঘুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কমপ্লেক্স ভবন প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে জাতীয় ও ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রেম কুমার ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। সম্মেলন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেকে মেধা থাকা সত্তেও ঝরে পড়ছে। ফলে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধেও ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা সেবা সুনিশ্চিত করতে হবে। সমাজের উচ্চ ভাবনা মানুষরা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাতে হবে। জনকল্যাণমূলক কাজে জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে টিএসএফ কর্তৃক পরিচালিত ককবরক লাইব্রেরীতে আসবাবপত্র ক্রয় ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৫লক্ষ টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সত্যহা পানজি ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ঠিকাদার এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, নারী নেত্রী ও উদ্যোক্তা শাপলা দেবী ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি খগেন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ।
আলোচনা সভা ও কাউন্সিলে বক্তারা আরোও বলেন, ত্রিপুরা জাতির উন্নয়নে টিএসএফ পাহাড়ে শিক্ষা, উন্নয়ন অগ্রগতি ও অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এসময় পাহাড়ে সব ভাষাভাষীর মানুষ মিলেমিশে কাজ করে নিজ নিজ সংস্কৃতি রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
সম্মেলন শেষে নয়ন ত্রিপুরাকে সভাপতি, অঞ্জলাল ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক, টিটু ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩৫ সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন মেয়াদ কমিটির সাবেক নেতৃবৃন্দ।