ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অঞ্চলে অবস্তিত অন্ধ্র প্রদেশ ভেতরের ২৮ টি রাজ্যের অন্যতম সমৃদ্ধ একটি রাজ্য। এ রাজ্যের আয়তন ১,৬০,২০৫ বর্গকিলোমিটার (৬১,৮৫৫ বর্গমাইল)। আয়তনের হিসেবে এটি ভাতের সপ্তম বৃহত্তম রাজ্য হলেও জনসংখ্যার হিসেবে দেশের দশম বৃহত্তম রাজ্য। অন্ধ্র প্রদেশের উত্তরে তেলেঙ্গানা ও ছত্তীসগঢ়, দখিনের তামিলনাড়ু, উত্তর-পূর্বে উড়িষ্যা, পশ্চিমে কর্ণাটক ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এই রাজ্যের উত্তরপূর্ব দিকে গোদাবরী ব-দ্বীপ এলাকায় পুদুচেরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ইয়ানাম জেলা (আয়তন ৩০ বর্গকিমি বা ১২ বড়মাইল) অবস্থিত।
অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য ৯৭২ কিলোমিটার (৬০৪ মাইল)। গুজরাটের পরে এটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম উপকূলরেখা। অন্ধ্র প্রদেশ দুটি অঞ্চলে বিভক্ত: উপকূলীয় অন্দর ও রায়ালসীমা। তাই এ রাজ্যকে সীমান্ধ্র নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বিশাখাপত্তম ও বিজয়ওয়াড়া এ রাজ্যের দুটি বোরো শহর। ১০ বছরের জন্য হায়দ্রাবাদ সংহতি অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা যৌথ রাজধানী। অন্ধ্র প্রদেশ ভারতের একমাত্র রাজ্য যার রাজধানী রাজ্যের মূল হুখণ্ডের বাহিরে অবস্থিত।
পূর্বঘাট পর্বতমালা, নাল্লামালা বনাচল, উপকূলীয় সমভূমি এবং গোদাবরী ও কির্শনা নদী বদ্বীপ অঞ্চল এই রাজ্যের প্রধান ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। প্রচুর ধান উৎপন্ন হয় বলে এই রাজ্যকে ‘ভারতের চালের ঝুড়ি’ বলা হয়। তেলুগু এই রাজ্যের সরকারি ভাষা। এটি ভাৱতেৱ একটি ধ্রুপদী ভাষা। সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এই রাজ্য বেশ সমৃদ্ধ। তিরুমালা মন্দিরসহ এইখানে অনেক দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে।
অন্ধ্র প্রদেশের উল্লেখ বহু প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ, যেমন ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বেদের ঐতরিয় ব্রাক্ষণে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, অসসক (পালি) বা অশ্মক নাম খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ থেকে ৮২৫ বা ৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এক মহাজনপদের নাম পাওয়া যায়। এই মহাজনপদ গোদাবরী ও কৃষ্ণ নদীর মাজেজা অবস্থিত ছিল। বর্তমানে অন্ধ প্রদেশ ভাৱতেৱ স্বাধীনতা লাভের পরে একটি অবস্থিত ছিল। বর্তমানে অন্ধ্র প্রদেশ ভাৱতেৱ স্বাধীনতা লেভার পরে একটি অঙ্গরাজ্য হিসাবে জন্মলাভ করে। তার পর্বে একটি মধ্য প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে, ভারতের ষোড়শ মহাজনপদের একটি ছিল অশ্মক। পরবর্তীকালে এটি সাতবাহন সম্রাজ্যের (২৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-২২০ খ্রিষ্টাব্দ ) অন্তর্গত হয়, যারা অমরাবতী শহরটি তৈরী করে। সাতবাহন সম্রাজ্যে উন্নতির শিখরে উঠে গৌতমীপুর সাতকণীর রাজ্যতকালে। সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পরে মাৎসান্যয় শুরু হয় এবং অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় রাজাদের দ্বারা শাসিত হতে শুরু করে। পরবর্তীকালে ইক্ষাকু সাম্রাজ্যের সূচনা হলে এই কৃষ্ণা নদীর তর পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শঅসনাধিকারে আসে।