দীর্ঘবিরতির পর নাট্যাঙ্গিনায় পুলিশ নাট্যদলের ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার টিকেট কাউন্টার থেকে মিলনায়তনের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত দর্শকদের সারিবদ্ধ লাইন। ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ এর দুইদিনের মঞ্চায়নের শেষ দিন রবিবারের চিত্র ছিল এমনই। বোদ্ধামহলে বেশ সাড়া ফেলেছে নাটকটি। করোনা মহামারির এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নাটকের মঞ্চায়নে এতটা দর্শক সমাগম হয়তো আয়োজক কর্তৃপক্ষ পুলিশ নাট্যদলও আশা করেনি।
৭৫ এর ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকেই উল্টো পথে হাঁটতে থাকে স্বদেশ। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের উপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে নাটকটির কাহিনী।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের পরিকল্পনা, গবেষণা ও তথ্য সংকলনে নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ পরিদর্শত মোঃ জাহিদুর রহমান।
খলনায়ক খোন্দকার মোশতাকের সাথে ঘাতকচক্রের মিত্রতা। মেজর ফারুক, মেজর রশীদসহ পর্দার আড়ালে থাকা মাষ্টারমাইন্ডদের দেশ দখলের নীলনকশা তৈরি এবং সেই ষড়যন্ত্রে সাম্রাজ্যবাদি প্ল্যানারদের ষড়যন্ত্রের বীজ বুনন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ক্ষমতা ইত্যাদি নানা বিষয় নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
এতে আরও উঠে এসেছে আর দশটা সাধারন দিনের মতই হত্যাকান্ডের পূর্ব পর্যন্ত ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের কর্মব্যস্ততার চিত্র। যেটা দেখে বোঝারই উপায় ছিলনা কিছুক্ষণ পরেই বাঙ্গালির জাতির প্রেরণার উৎস এই বাড়ি হয়ে উঠবে বিভৎস এক মৃত্যুপুরি। এসব নিয়েই বিন্যাস্ত হয়েছে নাটকটির কাহিনী।
‘অভিশপ্ত আগস্ট’ এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-জাহিদুর রহমান, ওমর ফারুক রনি, হাসিবুর রহমান শান্ত, রেদওয়ান আহম্মেদ, সিফাত, বিপ্লব চন্দ্র পাল, নুসরাত শারমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, বিনয় কুমার, তামান্না তমা, রাকিবুল হাসান, মীর ফয়সাল রুহুল আমীন হিরো,মাহবুবুল আলম সবুজ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, শোয়াইবুর রহমান, সোহাগ হোসাইন প্রমুখ।