এইচ এম হাকিম নিজস্ব প্রতিবেদক:-
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান নামক ভূখন্ডটি রক্ষার্থে তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে নাম লেখান।বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড পেতে গিয়ে দির্ঘ ইতিহাস রয়েছে, সে বিষয়ে অন্য দিন লেখার মাধ্যমে আলোচনা করবো,
১৯৭১ সনের পড় থেকে আজ অবদি এই স্বাধীন বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরযন্ত্র চলমান রয়ে গিয়েছে, তার পরেও এ জাতিকে দাবায়ে রাখতে পারিনিই কোন পরাশক্তি, ১৯৭১ সনের পর থেকে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে আওয়ামী লীগ - বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে, এ ছাড়া রাজনৈতিক কোন দল একক ভাবে রাষ্ট্রর দায় ভার গ্রহণ করে সরকার গঠন করতে পারেনি।
এই ৫৩ বছরে বাঙ্গালী ঘুড়ে ফিরে বারংবার বিএনপি - এবং আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখে রাষ্ট্রের কল্যানের জন্য তাদের কে নির্বাচিত করেছে।
উভয় সরকার ক্ষমতায় থেকে জনগনের কল্যাণে কাজ করেছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ জনগন নানা প্রকারের হয়রানির শিকার হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজেদের সরাসরি অংশগ্রহণ না করার কারনে তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে কখনো নিজেরা মিলে একক সরকার গঠন করতে পারেনি, তারা এক এক সময় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সহযোগিতা হিসেবে রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কাজ করেছে।
এই দলটির যেমন শুনাম রয়েছে ঠিক তেমনিই অসংখ্য বদনাম ও রয়েছে।
আর হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ জোর পূর্বক দেশ চালানোর কারনে জাতীয় পার্টিকে এখনো বাংলাদেশের মানুষ জুলুমবাজ সরকার বলে আক্ষা দিয়ে থাকে।
৫ই আগস্ট ২০২৪ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র বিপ্লবের মাধ্যমে পরাজিত হয়ে দলিও প্রধান সহ অসংখ্য নেতা কর্মি দেশ ছাড়া হয়েছেন, পরবর্তীতে ছাত্রদের সম্মনয়ে গঠিত হয় উপদেষ্টা সরকার, এ সরকার রাষ্ট্র ভার গ্রহণের পর থেকেই ছাড়িদিকে খুন ধর্ষন টেন্ডারবাজি চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে, তারা কোন ভাবেই এ ৭ মাসে এগুলো বন্ধ করার মিশনে সফল হতে পারেনাই।
বাংলাদেশে উপদেষ্টা সরকার বলতে একটি নিরপেক্ষ সরকারকে বুঝায়,আমার ছোট মস্তিষ্কের মাধ্যমে এটাই ধারনা করেছি, আপনারা এক এক ভাবে ধারনা করতে পারেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ছাত্ররা দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে ভালো খারাপ সব মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রকমের ধারনা সৃষ্টি হয়েছে, এবং নিজেরা উপদেষ্টা সরকারে থেকে একটি রাজনৈতিক দল পরিচালনা করা, যার ফলে প্রায় সময়ে আমলাদের সাথে ভিন্ন ভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, কোটা বিরোধী আন্দলনে তাদের মূল শর্ত ছিলো কোটা প্রথা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকুরী নিশ্চিত করা, ( তাদের এই পদক্ষেপকে আমি সাধুবাদ জানাই), কিন্তু উপদেষ্টা সরকারে থেকে তাদের উপদেষ্টা এবং কয়েকজন সমন্নয়ক এর রেফারেন্স এর মাধ্যমে কেন প্রকার পরিক্ষা ছাড়া চাকরি নিশ্চিত করা, এ বিষয়টি বাংলাদেশে কোটা মেধার জায়গাতে মিডিয়ার কল্যানে ব্যাপক আলোচনা - সমালেচনার জন্ম দিয়েছে।
এইতো কোটা আন্দলনের সমন্নয়ক নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাতের ফেসবুক স্টেটার্স ঘিরে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এবং নাগরিক পার্টির এ নেতার মাঝে এক মিশ্র প্রতিকৃয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে যে কোন প্রকার ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে, বাংলাদেশের মানুষ অন্য কোন বাহিনীর প্রতি আস্থা না রাখলেও সব সময় কোন প্রকার চিন্তা ভাবনা ছাড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখে, কারন বাংলাদেশ যে কোন দুর্যোগে নিজেদের প্রাণ দিয়ে হলেও এ দেশকে বাঁচানোর মিশনে তারা বারংবার সফল হয়েছে।
১৯৭১ সনের পর থেকে আজ অবদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ রক্ষার জন্য নিজের সর্বচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্থুত রয়েছে।
এ দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মিদের উচিৎ এ দেশের কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতি দির্ঘ আস্থা রেখে চলার, নতুবা যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ড সার্বভূমত্ব হারানোর ভয় থাকতে পারে, তাই এ জাতির উচিৎ হবে সব সময় বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীতে আস্থা রাখা........... চলবে