Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ২২ মার্চ ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই ড. সুকমল বিশ্বাস

মোঃ মাহাবুব আলম স্টফ রিপোর্টার
মার্চ ২২, ২০২৫ ৫:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কর্তৃক আয়োজিত প্রেসক্লাবের আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকমল বিশ্বাস বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তিনি বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আওয়ামী স্বৈরাচার পতনের ২ বছর আগেই জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যারা আজ স্¦ৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেন তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। সবাই দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন সেটা একধরনের রাজনৈতিক স্ট্যানবাজি। কিন্তু ২ বছর পর প্রমাণিত হলো তিনি যা বলেছেন বিএনপি এখনো যে পথে আছেন এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে বাংলাদেশকে কিভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে সে কথা অনেক আগেই তারেক রহমান বলেছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমাতায় এসে তিনিও জাতির মধ্যে কোন বিভক্তি সৃষ্টি করেননি। বরং সবাইকে একই স্রোতধারায় একত্রিত করে দেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে অনুপ্রণিত করেছিলেন। তিনি বলেন স্বাধীনতা আমাদের, জিয়াউর রহমানও আমাদের, এবং বাংলাদেশও আমাদের। জাতীয়তাবাদী শক্তির এই হচ্ছে মূলমন্ত্র। যদি অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের ভোটধিকার নিশ্চিতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের জনগণ আবার জেগে উঠবে এবং মানুষের অধিকার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। কারণ বিএনপির সম্পর্ক মাটি ও মানুষের সাথে । বিএনপি নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান সঠিক সময়ে সঠিক নেতৃত্ব দিবেন।

মুুক্তিযোদ্ধের প্রজন্ম কর্তৃক আয়োজিত, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন এর সভাপতিত্বে ও কালাম ফয়েজীর উপস্থাপনায় স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গ: জিয়াউর রহমান ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট যুবনেতা এস.এম মিজানুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম কলিম, মুক্তিযুুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, গণতান্ত্রিক জাগ্রত বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিষদের সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমী, ইউনুস তালুকদার, ওসমান কোরাইশি, কবির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম বলেন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা লাভের পর জিয়াউর রহমান ব্যারাকে ফিরে গিয়েছিলেন। একইভাবে ১৯৬৯ সালে এবং ১৯৯০ সালে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতনের পর ছাত্রনেতারা যে যার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ২০২৪ সালে দেখলাম ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করা একটা গোষ্ঠি আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব দাবী করে সর্বত্র কর্তৃত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অদক্ষ্য কর্মকান্ডের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা কায়েম হয়নি, মানুষ তাদের অধিকারও ফিরে পায়নি। তিনি বর্তমান সুবিধাভোগী সমন্বয়কদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা আগে অভিজ্ঞতা হাসিল করুন, তারপর রাজনীতিতে আসুন। জিয়াউর রহমানকে যেভাবে ডেকে এনে দায়িত্ব দিয়েছে, আপনাদেরকেও সেভাবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানি অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, জিয়াউর রহমান সবসময় ঐক্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি ডান-বাম সকল ঘরানার রাজনীতিকদের রাজনীতিতে নিয়ে আসেন এবং সকল রাজনীতিক দলকে অবাধে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে যাকে জনগন যাকে ভোট দিয়েছে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্য ভাঙ্গার চক্রান্ত হচ্ছে। অভিভাবক হিসাবে এই ঐক্য ধরে রাখার জন্য বিএনপিকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।