বাকেরগঞ্জে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাওয়ায় এক গৃহবধূকে শ্বশুর বাড়ির লোক কর্তৃক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় ২ নং ওয়ার্ড বাকেরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা নামের এক গৃহবধু গুরুতর জখম হয়।আহত জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা বাকেরগঞ্জ এলাকার মৃত কাঞ্চন আলী খানের মেয়ে।
পরে স্থানীয়রা আহত কে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।আহত সূত্রে জানা যায়, গত একুশে ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরের বগুড় রোড কাজী অফিসে বাকেরগঞ্জের মৃত কাঞ্চন আলী খানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তিশার সাথে বাকেরগঞ্জ ২ ওয়ার্ড পৌরসভা এলাকার কাজী শাহ আলমের ছেলে কাজী মেহেদী হাসানের ৪ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।বিয়ের পর স্ত্রীকে তার মায়ের কাছে রেখে পরবর্তীতে বাসা ভাড়া করে নেয়া হবে বলে পালিয়ে যায় কাজী মেহেদী হাসান।এরপর গত বৃহস্পতিবার জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে উঠলে শশুর কাজী শাহ আলম,শাশুড়ি মেহেরুন্নেসা বেগম, মামাশ্বশুর ইকবাল হোসেন রনি,টিটু সিকদার ও সাখি বেগম জান্নাতুল ফেরদৌস তিশাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে আহত জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা সাংবাদিকদের জানায় গত একুশে ফেব্রুয়ারি তার প্রেমিক কাজী মহিদী হাসানের সাথে বরিশালের হোটেল এরিনাতে দেখা করতে আসে।এ সময় পুলিশ তাদের হোটেলে আটক করে এবং বগুড়া রোডের কাজী অফিসে নিয়ে দুজনের সম্মতিতে ৪ লক্ষ টাকা কাবিনে দিয়ে পড়িয়ে দেয়।
বিয়ের পর দুজনে হোটেল ইমপিরয়ানে এক রাত থাকার পরে স্ত্রীকে শাশুড়ির কাছে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী কাজী মেহেদী হাসান।৬ বছরে তাদের প্রেমের সম্পর্কে তার স্বামী তাকে ধোকা দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান জান্নাতুল ফেরদৌস তিশ।
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত জান্নাতুল ফেরদৌস তিশা সুষ্ঠ সমাধানের দাবি জানায়।