Crime News tv 24
ঢাকাশনিবার , ২২ মার্চ ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আইইএবি এর তৃতীয় বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল-২০২৫ প্রোগ্রাম সফলতার সাথে সম্পন্ন।

admin
মার্চ ২২, ২০২৫ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফাতেমা আক্তার মাহমুদ ইভা, স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা:-…

২১ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি) এর দিনব্যাপী সাংগঠনিক আলোচনা এবং তৃতীয় বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রোগ্রাম -২০২৫ সম্পন্ন হয়। ঢাকার কল্যাণপুরস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) এর মাল্টিপারপাস হল রুমে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা এবং তৃতীয় বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রোগ্রামে উক্ত সংগঠন ও দেশের সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাফসা গ্রুপ অব কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নূরে আলম সরকার। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রকৌঃ জাহাঙ্গীর আলম তুষার। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌঃ মোঃ শরিফুর রহমান। আলোচনার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন এই সংগঠনের জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ আলমগীর।

প্রধান অতিথি প্রকৌশলী মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। কারণ এরাই দেশ গড়ার মূল কারিগর। তাই এই সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সমস্যা সমাধানে সরকারকে কাজ করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর/ শিল্প সেক্টর একটি বৃহৎ পরিকাঠামো। প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে প্রতিটি সেক্টরকে/কাঠামোকে/ক্লাস্টার কে প্রযুক্তি নির্ভর সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তাহলেই হবে প্রযুক্তি নির্ভর সত্যিকারের আধুনিক বাংলাদেশ। প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ হলে এর সুবিধা আমরা সকলেই ভোগ করতে পারবো। তাই প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলী হিসেবে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা উচিত এবং প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে প্রকৌশলী হিসেবে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত আপডেইটড রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমি জেনে খুশি হলাম যে শিল্প/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার বাস্তবায়ন এবং সার্বিক কল্যাণার্থে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি) কাজ করে যাচ্ছে । দ্রততার সাথে এই সংগঠন এগিয়ে যাচ্ছে, দ্রততার সাথে এভাবে আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমি একজন প্রকৌশলী হিসেবে এই সংগঠনের সাথে একাত্তা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এই সংগঠনের সার্বিক কর্মকান্ডে আমার সহয়োগীতা থাকবে। আমি এটাও বিশ্বাস করি প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে এই সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, অন্যান পেশার চেয়ে একজন প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা সহজ। তাই চাকুরী পিছনে না ঘুরে নিজ নিজ মেধা দিয়ে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উদ্যোক্তা হতে হবে, তাহলে নিজের কর্মসংস্থান হবে এবং অন্যের জন্যও কর্মের সুযোগ হবে।

 

উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম তুষার বলেন, শিল্প/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ এই সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের নেই কোন বেতন কাঠামো, চিকিৎসা/নিরাপত্তা ঝুঁকি ভ্রাতা, গ্রুপ ইন্সুরেন্স, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুয়েটি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি মনে করি, শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন ২০,০০০/- এবং শিল্প/বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের এন্ট্রি লেভেলে সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০/- নির্ধারণ করতে হবে। এটা করা উচিত। এই বিষয়ে সরকারের সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শিল্প সম্ভাবনাময় একটি দেশ। দিন দিন এই দেশে শিল্প সমৃদ্ধ হচ্ছে। রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড), ইকোনমিক জোন এবং হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতের সম্মৃদ্ধির ভান্ডার আরো মজবুত হয়েছে। এই সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ শিল্প প্রকৌশলী কর্মরত।এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাছারও গ্রুপ অব কোম্পানি এবং মান্টিন্যাশনাল কোম্পানি তাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করে যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংক/বেসরকারি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি/শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য বেসরকারি/প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত। সবাই আইইএবি পরিবারের অংশ হয়ে একই বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। তাই আইইএবি বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত এবং বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের সর্ববৃহৎ বিশেষায়িত একটি সংগঠন।

তাই, এই সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের গুরুত্ব বিবেচনা করলে, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ শিল্প ও বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের ছাড়া সম্ভব নয়।

উক্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌঃ মোঃ আলমগীর বলেন – ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইইএবি), বাংলাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি/প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীদের একটি বৃহৎ পেশাজীবি সংগঠন। আইইএবি এই সেক্টরে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের অনলাইন/ফিজিক্যাল ট্রেনিং-এর মাধ্যমে স্কীল ডেভেলপ করে তাঁদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। সকল টেকনোলজির ডিপ্লোমা ও গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারগণ এই সংগঠনের সাথে একই পরিবারের অংশ হিসেবে যুক্ত রয়েছে, যারা তাঁদের মেধা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের শিল্প কারখানাগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগ সহজতর করেছে।

তিনি আরো বলেন, শিল্প সেক্টরের চাকা সচল মানে দেশের অর্থনীতিতে চাকা সচল। এই শিল্প সেক্টরের চাকা সচল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে শিল্প প্রকৌশলীরা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেব্যুলেশন ৪.০/৫.০ এর এই যুগে শিল্পক্ষেত্রে আধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন সিস্টেম (PLC, SCADA & DCS) এবং রোবোটিক্স সিস্টেম ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প প্রকৌশলীরা উক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার সহজতর করেছে।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌ: মো: শরিফুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) কার্ডে বর্তমানে প্রকৌশলীদের পেশা হিসেবে ইাঞ্জনিয়ার লিখা হয়। আমরা বাঙ্গালী, বাংলা আমাদের মায়ের ও প্রাণের ভাষা। তাই এনআইডি কার্ডে প্রকৌশলীদের পেশা হিসেবে বাংলায় ইাঞ্জনিয়ার এর পরিবর্তে প্রকৌশলী লিখতে হবে। ইংরেজীর ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার লিখতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইএবি এর অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক প্রকৌঃ মেহেদী হাসান। উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইএবি জাতীয় প্রেসিডিয়াম কাউন্সিল এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌঃ মোঃ শায়েদুর রহমান রিয়াদ, প্রকৌঃ মীর সালাত মাহমুদ, প্রকৌঃ মোঃ আল আমিন খাঁন সুমন, প্রকৌঃ মোঃ রায়হানুল ইসলাম, প্রকৌঃ মোহাম্মদ সোহেল ভুঁইয়া, প্রকৌঃ মুনসুর আহমেদ, প্রকৌঃ মোঃ মোস্তফা মাহমুদ, প্রকৌঃ মোঃ আল আমিন এবং প্রকৌঃ জাহিরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন ঘোষণা করেন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌঃ মোঃ মঈনুল ইসলাম এবং উক্ত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবে প্রকৌঃ নূরজাহান (নয়নমণি), মিডিয়া এবং আইন কলেজের ২০ ২২ ফাইনাল পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা।

প্রোগাম শুরু হয় দুপুর ১০:৩০টায় এবং প্রোগাম শেষ হয় রাত ৭:৩০ মিনিট। অনুষ্ঠানে অতিথিদের ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এবং সংগঠনের সদস্যদের সাংগঠনিক কার্য্যক্রমের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরপ সম্মাননা দেওয়া হয়।