ময়মনসিংহে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে যে গণহত্যা হয়েছিল পৃথিবীর ইতিহাসে তা বীভৎসতম গণহত্যা। আজকে আমাদের সামনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা আছে তাদেরকে এই ইতিহাসটা জানতে হবে। বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ওইদিন মধ্যরাতে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের নাম জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। ৭১ পেরিয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ জুলাই আগস্টে আরেকটি স্বাধীনতার অভ্যুদয় ঘটে। সেখানে আমাদের এই তরুণরাই রক্ত দিয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, জুলাই আগস্টের শহীদ সাগরের বাবা আসাদুজ্জামান, শহীদ মাহিনের বাবা জামিল হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, গণহত্যা একটি জঘন্যতম অপরাধ। আমাদের মাঝে সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা আছেন তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আজকের এই গণহত্যা দিবসে আমরা সেই দিনটিকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি। আরো স্মরণ করি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ড. শামীম রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) লুৎফুন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজা মো: গোলাম মাসুম প্রধান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ, ছাত্র সমন্বয়কসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীগণ।