ঢাকা সাভার নবীনগর স্মৃতিসৌধ স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় এই স্মৃতিসৌধ
রাত পোহালেই ২৬শে মার্চ, দেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস। দিনটিতে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাধীনতা ঘোঁচাতে জাতির যে বীর সন্তানেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে সমগ্র বাংলার জাতি।
এদিন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামবে স্মৃতিসৌধে। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদি। এ লক্ষ্যে স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধে সৌন্দর্যবর্ধনসহ নানা কাজ সম্পন্ন করেছে সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হয়েছে বর্ণিল সাজে। রঙ তুলির আঁচর পরেছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক, সিঁড়িতে। বিভিন্ন স্থানে সংস্কারসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) স্মৃতিসৌধ চত্বর ঘুরে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন মিলে সড়কের পাশে ফাঁকা জায়গায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাসের চারা রোপণ করছেন। স্মৃতিসৌধ চত্বর পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে, রঙতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বেদিসংলগ্ন সিঁড়িগুলো। সবুজ ঘাসের গালিচা কেটে ছেঁটে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে। পুরোনো ফুলের গাছগুলোকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি রোপণ করা হয়েছে নানা জাতের ফুলের গাছ। ভবনের দেয়ালে ঝোলানো হয়েছে বর্ণিল আলোকবাতি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিপাটি করা হয়েছে। এছাড়া পুরো চত্বরে ফুল দিয়ে সাজানো, রঙ তুলির কাজ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আলোকসজ্জা, লেক সংস্কারসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা এ কার্যক্রমে শতাধিক কর্মী কাজ করেছেন। নিরাপত্তার লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।২৫,০৩,২০২৫