অবশেষে জামিন পেলেন পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ কুন্দ্রা। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, পর্নোগ্রাফি কাণ্ডে ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাজ কুন্দ্রা ছাড়াও রায়ান থোরপের জামিন মঞ্জুর করেছে মুম্বইয়ের আদালত। প্রায় দু’ মাস পর জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার পর্ন ছবি তৈরির মামলায় রাজের বিরুদ্ধে এক হাজার ৪০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। এরপরেই গত শনিবার রাজ পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করেন। তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন, তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে এবং পুলিশ চার্জশিটও পেশ করে ফেলেছে। অর্থাৎ প্রমাণ লোপাটের যুক্তি আর খাটে না, এহেন যুক্তিই নাকি দিয়েছিলেন রাজ।
সূত্রের খবর, ব্যবসায়ীর দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি পর্ন ছবির শ্যুটিং করাতেন এবং মোবাইল অ্যাপ মারফত স্ট্রিমিংয়ে তাঁর কোনও যোগ ছিল এই ধরনের কোনও প্রমাণও পুলিশ পায়নি। এমনই দাবি রাজের। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৯ তারিখ গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। চার্জশিটে পুলিশ উল্লেখ করেছে যে রাজ অপরাধীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন।
জুলাই মাসেই দু’বার জামিনের আবেদন করেছিলে রাজ কুন্দ্রা। দু’বারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল। হাইকোর্টের পর ফিরিয়েছিল মুম্বইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও। অতীতে শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রার জামিনের আবেদন খারিজ করার আবেদন করেছিল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আদালতে পুলিশের আইনজীবী জানান, যদি তদন্ত চলাকালীন রাজ কুন্দ্রার জামিন মঞ্জুর করা হয়, তাহলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাবে। পাশাপাশি, পুলিশের দাবি ছিল, জামিনে ছাড়া পেলে ফের অপরাধ করতে পারেন তিনি। ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার দৌলতে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টাও করতে পারেন রাজ কুন্দ্রা।
রাজের জামিনের আবেদনের বিপক্ষে লাগাতার সওয়াল করে সরকারি পক্ষ। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার কিরণ বিদ্ভে সে সময় আদালতকে জানিয়েছিলেন, এখনও ব্যবসায়ীর একাধিক বয়ান রেকর্ড করা বাকি রয়েছে। তাঁকে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘জামিন দিলে, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন ব্যবসায়ী।’ যদিও রাজ আবারও জামিনের আবেদন করে দাবি করে বলছিলেন, ‘আমি সবরকমভাবে সাহায্য করছি, এরপরেও আমাকে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না।