নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করে নিতে হয়, কেহ আপনার অধিকার নিজ ইচ্ছায় দিয়ে যাবে না।
বাসে “মহিলা সিট” লেখাটা দেখেও যে লোকটা এই মহিলা সিটে বসে আছে সে কখনোই নিজ ইচ্ছায় উঠে গিয়ে আপনাকে বসতে দিবে না, কারন সে জানে এটা মহিলা সিট তারপরেও সে একটু জোর খাটালো যদি কাজে লেগে যায়, আপনি এসে যদি নিজ অধিকার আদায় করে নিতে পারেন তবেই আপনি জয়ী হবেন, আর যদি মনে করেন যে “লোকটা মহিলা সিটে বসে আছে তার সাথে তর্কে জড়াতে চাইও না” যদি এরকম মনে করেন তবে আপনি আপনার অধিকারটুকু হারিয়ে ফেলবেন।
এই একটা মাত্র উদাহরন দিলাম, আমরা প্রতিদিনই নিজেদের অধিকার হারাচ্ছি আর সেই অধিকার গুলো ভোগ করছে অন্য মানুষগুলো।
মানুষ গুলো কেমন যেন দিন দিন বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, মনেহচ্ছে তারা এই দেশের মেহমান, যে যা বলবে যে যা করবে সব মুখ বুঝে সয়ে যাবো কোন প্রতিবাদ করবো না।
মানুষ গুলোও শর্টকাট হয়ে গেছে ফিতা/বেল্ট ওয়ালা জুতার পড়া খুব কমিয়ে দিয়েছে, কে করে এতো ঝামেলা?
ক্লাস ফোরে থাকতে প্রথম মায়ের থেকে শিখেছিলাম কীভাবে জুতার ফিতে বাঁধতে হয়, সেদিনটা খুবই আনন্দের ছিলো জুতোর ফিতে বাঁধতে শিখেছি তাই।
আর মানুষ গুলোও খুব একা তারা এতটাই একা যে নিজের ছবি নিজেকেই তুলতে হয়, আর এই একাকীত্ব কে আমরা আদর করে “সেলফি” বলে ডাকি।