এইচ এম এরশাদ আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা:-
বর্মায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭১৯-এ, আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০০ জন। মঙ্গলবার দেশটির সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া, এখনো ৪৪১ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি, যারা নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) স্থানীয় সময় গভীর রাতে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি বর্মার বিস্তীর্ণ এলাকায় আঘাত হানে। বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়। শত শত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, অনেক এলাকা ভূমিধসের কবলে পড়েছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্ডালয় ও সাগাইং অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা।
ভূমিকম্পের পর থেকেই দেশজুড়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যা উদ্ধারকাজ ব্যাহত করছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিবেশী দেশগুলো বর্মাকে জরুরি সহায়তা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ইতোমধ্যেই মানবিক সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুতি নিয়েছে কয়েকটি সংস্থা।
এদিকে, বর্মার সাধারণ জনগণ এখনও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আফটারশকের আশঙ্কায় বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ভূমিকম্পের পরবর্তী কয়েকদিনে আরও আফটারশক হতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বর্মায় এই ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
(সূত্র: কুয়েত নিউজ)