মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ-ভারত অংশগ্রহনে প্রতিবছর গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবের শুরু থেকে প্রতিবছর দুই দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। কিন্তু এবার হচ্ছে ব্যতিক্রম।
১ অক্টোবর থেকে ১২ দিনব্যাপী শুরু হতে যাওয়া গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশের ১৩০টি দল অংশ নিলেও থাকছে না ভারতীয় কোনো সাংস্কৃতিক দল।
উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, করোনার জেরে বাংলাদেশ কিংবা ভারতে এখনও ভিসা চালু হয়নি। মহামারীর কারণে ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় এবার ভারতের কোনো সাংস্কৃতিক দল অংশ নিতে পারছে না। তারা অংশ নিলে উৎসবে বৈচিত্র্য আসতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। করোনার কারণে এ বৈচিত্র্যটুকু থাকবে না। তবে উৎসব চলবে আপন গতিতে।
তিনি জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এবারের উৎসবকে বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। ১ অক্টোবর উৎসবটি উদ্বোধন করবেন স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজেয় শ্যাম। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
শিল্পকলার চারটি মিলনায়তন ও একটি উন্মুক্ত মঞ্চসহ পাঁচটি ভেন্যুতে হবে এবারের উৎসব। যেখানে দেশের ১৩০টি দলের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সংস্কৃতিকর্মী অংশ নিবেন বলে জানান গোলাম কুদ্দুছ।
এ আয়োজনে মঞ্চনাটক, পথনাটক, নৃত্যালেখ্য, বাউল গান, ধামাইল, দলীয় আবৃত্তি, দলীয় সংগীত, দলীয় নৃত্য ও শিশু-কিশোর সংগঠনের পরিবেশনায় টানা ১২ দিন উৎসবে মাতবে রাজধানী। গোলাম কুদ্দুছ জানান, হাতে বেশি সময় নেই। উৎসবকে সফল করতে শেষ সময়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।