বাংলাদেশে একের পর এক অবৈধ প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ উঠেছে। গ্রহকদের চটকদারি অফারের মাধ্যমো দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাতিয়ে নিয়েছে কাটি কোটি টাকা। ঠিক তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান ‘সুইসডার্ম’ এর নামে অভিযোগ উঠেছে।
পাঁচ ক্যাটাগরিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতো সুইসডার্ম। একেক ক্যাটাগরির জন্য একেক ধরনের প্যাকেজ। চার হাজার ২০০ টাকার প্যাকেজ থেকে শুরু করে এক লাখ ১৭ হাজার টাকার প্যাকেজ। প্যাকেজের বিপরীতে থাকত এক থেকে ২৮ প্যাকেট নকল ওষুধ। পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনকারী ভুয়া প্রসাধনী সামগ্রীও উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতো তারা। প্রতিষ্ঠানটির ছিল না নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা বা সাইনবোর্ড। র্যাব জানায়, সুইসডার্ম প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রমই প্রতারণামূলক। তাদের পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কিংবা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কোনো অনুমোদন এমনকি ছিল না বৈধ কোনো কাগজপত্র।
সুনির্দিষ্ট এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ‘সুইসডার্ম’ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কাজী আল-আমিনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। র্যাব জানায়, সুইসডার্ম প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রমই প্রতারণামূলক। তাদের পণ্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কিংবা ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কোনো অনুমোদন ছিল না। তাদের ছিল না বৈধ কোনো কাগজপত্র। সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্সও দিত না প্রতিষ্ঠানটি। শুধুমাত্র পার্সেন্টেজ আর প্যাকেজে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে লক্ষাধিক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর (হেডকোয়ার্টার কোম্পানি) উপ-পরিচালক ও পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী বলেন, সম্প্রতি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ও ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে। দেশজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসা। এমন সময়ে সুইসডার্ম নামক প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণামূলক নানা তথ্য আমাদের কাছে আসে।
তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের কাছে দুই ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেন। তদন্তে সত্যতা পাবার পর গতকাল মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালায়। সুইসডার্ম প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম পরিচালক কাজী আল আমিনসহ (৩৪) ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
চক্রটির মূলহোতা কাজী আল আমিন দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির নতুন সদস্যদের কাছে প্রবাসী কিংবা বিভিন্ন দফতরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রলুব্ধ করতো। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিত।