পাবনা নগরবাড়ি বিএনপি নেতা মফি,র নেতৃত্বে কোনো ধরনের বাধাহীনভাবে দিন রাত চলে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহা উৎসব। অবৈধ ও যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলন হওয়ায় প্রতি বছর নদী ভাঙনে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় চলা এ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই, উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে চললেও এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়, কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রীতি কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। কিন্তু আবারও শুরু হয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলন। আগে রাতে তোলা হতো এখন দিনরাত তোলা হচ্ছে। আগে এইসব বালু মহলে নেতৃত্ব দিতেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মী। প্রতিদিন একেকটি পয়েন্টে লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়, স্থানীয়রা জানান প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেই ভাগ হয় বালু উত্তোলনের টাকা ।
বালু ভর্তি ট্রাকগুলো রাস্তা ঘাটে প্রশাসনের সামনে দিয়ে বাধাহীনভাবে দাঁপিয়ে বেড়ায়, দেখার কেউ নেই।
শাহীন,বাবু, চাঁদ, দুলাল ও নদীপারের কৃষকরা জানান, আগে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে বাদামসহ আমরা ফসল আবাদ করতাম, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পারছি না। নদী শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালু উত্তোলন শুরু হয়। ফসলি জমি নষ্টের পাশাপাশি রাস্তাও নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে বললেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না। উল্টো আমাদের নামেই বালু মহল থেকে মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখানো হয়। উদ্দেশ্যরা জানান পুলিশ-প্রশাসনের ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে।
এব্যাপারে মুঠো ফোনে বালু উত্তোলনকারীর দলের প্রধান হানিফ বলেন আমরা গত বর্ষা মৌসুমে টোকনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করছিলাম, সেই বালু বিক্রি করছি।
পাবনা বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলামকে বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।