দ্বীপ জেলা ভোলার মনপুরা উপজেলার নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট মনপুরা ও মনপুরা থানা পুলিশ কর্তৃক যৌথ টহল ও তল্লাশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়েছে আজ ০৬ এপ্রিল ২০২৫ রোজ রবিবার “ইন এইড টু সিভিল” পাওয়ার এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকাসমূহে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুলাই ২০২৪ হতে অদ্যবদি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট মনপুরা অস্ত্র, মাদক, অবৈধ কারেন্ট জাল, মা ইলিশ সংরক্ষণ, ঝাটকা নিধন প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন ঘাট ও বাজার হতে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৫ এপ্রিল ২০২৫ দুপুর ২:০০ ঘটিকা হতে ৪ঃ০০ ঘটিকা পর্যন্ত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট মনপুরা ও মনপুরা থানা পুলিশ এর সমন্বয়ে ঈদ পরবর্তী সময়ে জননিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে জনতা বাজার এলাকায় যৌথ টহল ও তল্লাশি চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার সাধারন মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কর্তৃক এ ধরনের বিভিন্ন রকম টহল ও নিরাপত্তা মূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার জানিয়েছেন।
এছাড়াও, নৌবাহিনীর বিভিন্ন রকম অপারেশনাল কর্মকান্ডের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এ বছর চলমান জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযানে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকার অবৈধ জাল ও ঝাটকা মাছ জব্দ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও অভিযান চলাকালে জনতা বাজার লঞ্চ ঘাট ইজারাদার জাকির হোসেন, পিতাঃ আক্তার উদ্দিন মাস্টার,ইউনিয়ন দক্ষিণ সাকুচিয়া,গ্রাম রহমানপুর, ০৫ নং ওয়ার্ড, মনপুরা, ভোলা, এর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ঘাট ভারা আদায়, লঞ্চ নাম্বর বিহীন এর মালিক অহিদ,পিতা মীর শাহে আলম,০৪নং ওয়ার্ড, চরফ্যাশন পৌরসভা, ভোলা, এর বিরুদ্ধে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন লঞ্চ পরিচালনা, লঞ্চে লাইফ সেভিং ও ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট না রাখা, রুট পারমিট বিহীন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীদের লাঞ্চনা করার অভিযোগে মনপুরা থানায় মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট বলেন বর্তমান সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এর নিয়মিত যৌথ অভিযান চলমান থাকবে।