Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না মৌলভীবাজারের হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে

Link Copied!

মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না।

প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা এই বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে থাকলেও এবার ব্যতিক্রম হওয়ায় সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

অনেকে মনে করছেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠায় হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার কেন্দ্র দেওয়া হয়নি।

জানা যায়, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগম নিজেকে রক্ষা করতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি)সহ ৭ জনকে বিবাদী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫২/২০২৫।

রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শ্যামলী রানী চন্দ, তৈয়ব আলী মীর এবং মিফতাহুজ্জামান সাজু; সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা, নিরমল চন্দ্র কপালী, শান্তনা রানী, আফরোজা খাতুন, সেলিম রেজা, সরোয়ার হোসেন বাদল, সুমন কান্তি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। তাঁরা গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

এফডিআর হিসেবে ৩৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৬ টাকা থাকার কথা থাকলেও এর একটি বড় অংশ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া ২০১৭ সালের অডিট রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ১ হাজার টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠে।

বিভিন্ন সময়ের রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিললেও তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং বিদ্যালয়টি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য শিক্ষকরা সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

এই প্রথম কেন মৌলভীবাজারের হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র দেওয়া হয়নি তা জানতে মুঠোফোনে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলেও এবার মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কাশীনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জায়গা হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্র দেওয়া হয়নি।”

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এবং তিনি জেলা প্রশাসকসহ ৭ জনকে বিবাদী করে মামলা করেছেন—উভয় বিষয়েই কি কেন্দ্র না দেওয়ার কারণ রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, “এসব বিষয় মিটিংয়ে ওঠেনি তবে সবাই অবগত আছেন। যেহেতু জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি)সহ ৭ জনকে বিবাদী করেছেন, সে কারণে অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় থাকতে পারে, সেটা আমি বলা উচিত মনে করি না।”

উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না এবং উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবক পরিষদের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

উপরে উল্লিখিত বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি ফোনে বক্তব্য দেই না, আমি ফোনে বক্তব্য কেন দিব? আপনি আমার বক্তব্য নিতে হলে সরাসরি দেখা করুন।”