মঠবাড়িয়া থানাধীন পশ্চিম হোগলপাতি গ্রামের তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে শহীদ (৪৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আহত শহীদ মঠবাড়িয়া থানাধীন ৮ নং আমরাগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম হোগলপাতি গ্রামের মৃত্যু আব্দুল হকের ছেলে।
গতকাল শনিবার সন্ধা সাড়ে সাতটায় মঠবাড়িয়ার শাপলাজা ও বাইজোড়া নামক স্থানের কালু বাড়ির সামনে বসে হামলার ঘটনা ঘটে।পরে তাকে মঠবারিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আহত্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরন করে।
আহত সূত্রে জানা যায়,আহত শহীদের মামাতো ভাই দুলালের ট্রলারের কাঠ মিস্ত্রি কাজ করে কাঠমিস্ত্রি সরোয়ার।সরোয়ার কাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় শহীদ কে একটু এগিয়ে দিতে বলে।এ সময় শহীদ মিস্ত্রি, সরোয়ার ও তার সাথে থাকা যন্ত্রপাতির ব্যাগ নিয়ে রওনা দেয়।এ সময় শাপলাজা ও বাইজেরার কাছাকাছি কালুর বাড়ির সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে চেপে আসা সাবেক মেম্বার মৃত্যু ফরহাদের ছেলে মিলন ও শামীম কল্যাণ সহ অজ্ঞাত আট দশজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের পথরোধ করে কাঠমিস্ত্রি সরোয়ারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে।
এ সময় কাঠমিস্ত্রি সরোয়ার কৌশলে তাদের হাত থেকে পালিয়ে পাশের একটি মরিচ খেতে পালিয়ে যায়। এ সময়ে সরোয়ারের সাথে থাক শহিদকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে ও পিটাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মিলন ও শামীম কল্যাণ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে শাপলাজা ইউনিয়নে নিয়ে যায়। এ সময় শহীদ তাকে কেন মারতেছে জানতে চাইলে তারা কিছু না বলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরবর্তীতে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।বর্তমানে আহত শহীদ শেবাচিমের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।