নেত্রকোনার একটি অবৈধ জুস কারখানায় র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জুস, ডিটারজেন্ট পাউডার, শ্যাম্পু, সরিষার তেল সহ নামে-বেনামে প্রায় ১৭ টি পণ্য জব্দ সহ কারখানাটি সিলগালা করেছে প্রশাসন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে নেত্রকোনার বালুয়াকান্দা এলাকায় এই অভিযান চালায় র্যাব-১৪ এর একটি চৌকুষ টিম। র্যাব ১৪ চৌকুষ টিমের সংবাদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য সহ কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
বালুয়াকান্দা এলাকায় ফেসিবাদি আওয়ামি নেতা আবু তাহেরের ধানের মিল ভাড়া নিয়ে কেন্দুয়ার কামরুজ্জামান গং কেন্দুয়ার কামরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা স্থানীয় আবু আওয়ামিলীগ নেতা তাহের মিয়ার রাইচ মিল ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে অবৈধ কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলো চক্রটি।
দীর্ঘদিন যাবত নামে বেনামে বিভিন্ন প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রয় করে আসছিল।
পরে র্যাবের সংবাদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মোঃ হাসিব উল আহসান,,সহকারী কমিশনার (ভূমি)। উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো:আশরাফুল ইসলাম, র্যাব-১৪ এর স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ আশরাফুল কবির, অপারেশন অফিসার মো: জুনাঈদ ভূইয়া সহ র্যাব সদস্যরা। অভিজান চলাকালিন সময় স্হানিয় ভূমি ন্যায়েব অভিযানের বিষয় ফাঁস করে দেওয়ার আলামত পাওয়া যায়। যে কারনে, কারখানার লোক জন পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। তিনি জানান গত
কাল সান্ধায় তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেসেজ দেন। এবং
মোঃ হাসিব উল আহসান,,সহকারী কমিশনার (ভূমি)।আদেশ নিয়ে তিনি মালিকের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্ত এসিল্যান্ড বিষয়টি অস্বীকার করেননি। এদিকে এলাকার লোকজন বলেন প্রশাসনের গাড়ি আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা এখানে উপস্থিত ছিল, তড়িঘড়ি করে তারা পালিয়ে যায়।
এছাড়াও প্রশ্ন উঠে ঐ উপজেলা পরিষধের সার্টিফিকেট নিয়ে নোংরা পরিবেশে কি ভাবে ধানের মিলে শিশু খাদ্যের কারখানা, নামে বেনামে গড়ে ওঠে। তারা আরও বলেন, নেত্রকোণা জেলায় নামে বেনামে আরও কারখানা আছে যা আপনারা অনুসন্ধান করলেই বেরিয়ে আসতে পারে, বলে জানান তাঁরা ।
মহিউদ্দিন তালুকদার
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
তাং- ১৫-০৪-২০২৫