নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানাধীন খাজুরা গ্রামে ধান চুরির প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।গত ১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে আব্দুর রব মুন্সী (৭৫), জসিম (৩৫), মিলন (২২), ও আবুল কাশেম (৪০) নামের চারজন আহত হয়েছে।
আহতরা কলাপাড়া থানাধীন খাজুরা গ্রামের মৃত মতলেব মুন্সির ছেলে ও নাতিরা।পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে আহতর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্য চিকিৎসকরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রব মুন্সির সাথে তার পার্শ্ববর্তী রুহুল মুন্সী গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি জমা নিয়ে বিরত চলে আসছে।গত ১ ডিসেম্বর রবিবার দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুহুল আমিন গংরা পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুর রব মুন্সির ফসলি জমিতে প্রবেশ করে ধান চুরির করে।
এ সময় খবর পেয়ে আব্দুর রব মুন্সী তার ছেলের জসিম নাতি মিলন ও আবুল কাশেম তাতে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ রুহুল আমিন মুন্সি, আল আমিন মুন্সী, ইসমাইল মুন্সী, রাজ্জাক মুন্সী, রূপক, শুক্কুর চৌকিদার, কুদ্দুস চৌকিদার, নবী হোসেন সহ অজ্ঞাত আট দশ জন দেশীও অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আব্দুর রব মুন্সী, জসিম, মিলন ও আবুল কাশেম এর উপর হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিপক্ষরা আহতদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।পরবর্তীতে ঘটনার পরের দিন আহত আবুল কাশেম প্রতিপক্ষ নামে মামলা দিতে উকিলে কাছে গেলে প্রতিপক্ষরা আবুল কাশেমকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এবং ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে সই রাখে।
বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ড ও অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।