নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অফিসার শরিফুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম,দূর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা,অফিস ফাঁকি দেয়া সহ এন্তার অভিযোগ উঠেছে।এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য, অভিযোগ সূত্র ও খোঁজখবে প্রকাশ,ওই অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান অফিসে যোগদান করার পর থেকে রামরাজত্ব কায়েম করে বসেছেন।অফিসের সকল কর্মচারিদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজ ইচ্ছাবলে যা খুশি তাই করে চলেছেন।
আত্ম অহঙ্কার,অর্থলোভের কারণে অফিসে যোগদান করেই অফিস ফান্ডের লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন।এরপর থেকে একেরপরএক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন।অফিস ফাঁকি দেয়া তার নিত্যনৈমিমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিনি এত চালাক ও ধূর্ত যে,বাইরে ভদ্রতার আড়ালে ওই অফিসের বাৎসরিক মালামাল ক্রয়ের নামে আসা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন।যা কিনা এক মুরগী বারবার জবাই করার সমান।
জনশ্রুতি আছে যে,শ্রম শক্তি প্রকল্প,আর্থসামাজিক ও জনমিতিক শুমারি কাজে চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগ্য,শিক্ষিত ও বেকার যুবক তরুন থাকার পরও মেহেরপুর জেলার একই পরিবারের ৪ জনকে কাজ দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসেল করেন।শুধু কি তাই, সম্প্রতি এসভিআরএস প্রকল্পে ৩১ জন রেজিষ্টার নিয়োগে প্রকল্প পরিচালকের সতর্কবার্তা থাকলেও অফিসের কর্মচারিদের নিকট আত্মীয়দের নিয়োগ কাজে সহযোগিতা করেছেন।এ নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।
এছাড়া,দামুড়হুদা,জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের বাৎসরিক বাজেট যথানিয়মে না দিয়ে লুফে নেবার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, বিগত স্বৈরাচার শাসকের অনুগত হয়ে ডিডি (ভারপ্রাপ্ত)শরিফুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় অনাকাঙ্খিত বিল ভাউচার তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছে।অফিসের সরকারি গাড়ী নিজের পারিবারিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করেন।এছাড়া,মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকির জন্য প্রতি মাসে ১০০ লিটার জ্বালানী তেল বরাদ্দ থাকলেও গাড়ি না চালিয়েই প্রতি মাসে লুফে নেন ১০ হাজার টাকা করে।এসব টাকা লুট করে সাতক্ষীরা জেলায় নিজের এলাকায় জমিসহ ৩ তলা বাড়ি পর্যন্ত করেছেন।যা তদন্তাধীন বিষয়।
এদিকে, ওই অফিসের একজন নিরাপত্তা গার্ডকে সার্বিক সুবিধা দিয়ে এবং নিজে সুযোগ নিয়ে মাথায় তুলেছেন।ওই নিরাপত্তা গার্ড পতিত স্বৈরাচার সরকারের অনুগত হওয়ায় তাকে স্হানীয় সরকার নির্বাচনের সহকারি প্রিসাইটিং অফিসার হিসেবে তালিকায় নাম দিয়ে কাজ দেন।আর্থসামাজিক ও জনমিতিক শুমারি প্রকল্পে কাজ দিয়ে তাকে মোটা অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেন।এছাড়া,চলতি বছরে চলমান অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্প কাজে অযোগ্যতার পরও একজন নিরাপত্তা গার্ডকে জোনাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।সে কাজে ওই নিরাপত্তা গার্ড তার নিজের স্ত্রীসহ নিকট আত্মীয় সকলকে গননাকারি হিসেবে কাজ করাচ্ছেন।এ নিয়েও এলাকায় সমালোচনা রয়েছে।যা নৈতিকতার স্খলন ছাড়া কিছুই নাই।
বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে ভারপ্রাপ্ত ডিডি শরিফুল ও নিরাপত্তা গার্ডকে শাস্তিমূলক ব্যবস্হা গ্রহণ ও অপসারণ দাবি জানিয়েছে ভূক্তিভোগী জেলাবাসী।