ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ–
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানাতে এক অবৈধ্য সার ব্যবসায়ী কে দিয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করার সততা পাওয়া যায় । মিথ্যা মামলার শিকার সাংবাদিক হলেন,রাজধানী টিভির স্টাফ রিপোর্টার খন্দকার আব্দুল্লাহ।
অবৈধ ভাবে উপজেলা ব্যাপী সার ব্যবসার প্রতিবাদ ও ফেসবুকে বিভিন্ন সময় ষ্ট্যাটাস দেওয়ায় বোয়ালমারী থানাতে সাংবাদিকের নামে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর ) মিথ্যা মামলাটি করেন উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ঐ গ্রামের মৃত হালিম শেখ ছেলে অবৈধ্য সার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান।
অনতিবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের আলফাডাঙ্গা সভাপতি আরিফুজ্জামান চাকলাদার ও……
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ বোয়ালমারী বাসীসহ বৈধ সার ব্যবসায়ীরা । ফরিদপুরের ভোরের রানার সহবাত্তা-সম্পাদক সবুজ দাস বলেন,আব্দুল্লাহ একজন নিতিবান সংবাদ কর্মী সে কখনো আপস করেনা তার টাকা অভাব নেই,দৈনিক নাগরিক দাবির সম্পাদক মোঃ হায়দার খান বলেন,আব্দুল্লাহ আমার অফিসে কিছু দিন ডেস্কেকাজ করেছিল কিন্তু ও টাকার প্রতিলোভ নেই, দরকার হলে আমরা ফরিদপুরের সকল সাংবাদিকরা মানব বন্ধ করব,ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সংবাদ কর্মীরা বলেন আব্দুল্লাহ এরক লোক না, প্রচুর টাকার মালিক ও কেন চাঁদাবাজি করবে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,খন্দকার আব্দুল্লাহ বোয়ালমারী উপজেলা ব্যাপি কৃষি কর্মকর্তার ছাত্র ছায়ায় অবৈধভাবে সার ব্যবসায়ী ও বৈধ্য ব্যবসায়ীরা উচ্চ মূল্যের সার বিক্রিয় করার প্রতিবাদ করে আসছিল।
প্রতি মাসে মাসোয়ারা নিয়ে দুর্নীতি অনিয়মের মধ্যে ব্যবসা করাতো ওই কর্মকর্তা । ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ওই কর্মকর্তা নতুন করে ফরিদপুর এক আসনে সাবেক সংসদ ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। নিজের অনিয়ম দুর্নীতি অপকর্ম ঢাকতে খন্দকার নাসিরুলকে পক্ষ নিয়ে তাকে( নাসিরুল) দিয়ে আব্দুল্লাহ মুঠোফোনে গালিগালাজ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলা এবং হাত-পা ভেঙ্গে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি-ধমকি দেয়।
পরে ওই কল রেকর্ড বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও ফেসবুকে প্রকাশিত হলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিরুল লোকজন দিয়ে ১২ নভেম্বর আব্দুল্লাহর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।ওই রাত্রে খন্দকার আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে খন্দকার নাসিরুল সহ-১৭ জন জনের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন। নাসিরুলের ইন্দনে অবৈধ সার ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে দিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ দায় করেন। বোয়ালমারী থানার ওসি অভিযোগ আমলে না নিয়ে মিজানুরের অভিযোগ ১৬ দিন পরে আমলের নিয়ে মামলা রজু করেন।
সাংবাদিক খন্দকার আব্দুল্লাহ জানান, সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কৃষি কর্মকর্তা ছত্রছায়ায় উপজেলায় সার বিক্রি করে আসছিল অবৈধ্য, বৈধ্য ব্যবসায়ীরা। কোনো ভাবেই তাদের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছিল না।আমি নিউজ তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ও জনগণকে নির্ধারিত দাম এবং সচেতনতা করা জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে।কৃষি কর্মকর্তা বঁচার জন্য সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুলে সাথে সখ্যতা গড়ে আমাকে গালিগালাজ, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে পুড়িয়ে ফেলা এবং হাত-পা ভেঙ্গে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি-ধমকি দেয়।আমি কৃষি কর্মকর্তা নামে আদালতে মামলা করি।এরই জেরে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও তাদের অবৈধ সার ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালাতে থানায় আমার নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেন । যা আদৌ সত্য নয়। পুরো ঘটনাটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
অবৈধ্য সার ব্যবসায়ী মিজান ও নাসিরুলের বাড়ি এবং আমার বাড়ি একই জায়গায় হওয়ায় আমার নামে ১৬ দিন পরে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে। চাঁদা চাওয়া তো দুরের কথা মামলার বাদি মিজানুরের সাথে এ বিষয়ে আমার সাথে কোনো কথা হয়নি। কতিপয় বিএনপি নেতা স্বার্থের বেঘাত হওয়ায় আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। মামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ জাফর,সৈয়েদ খাইরুল,সৈয়েদ রবিউল,মোঃ ডাবলু,আমির হোসেন বলেন, আব্দুল্লাহ এরকম ছেলে না ও হলো একজন দাদা মানুষের বিপদের পাশে থাকা ওর নেশা, এবং মোঃ জুঙ্গুলে বলেন আমি কিছু দিন আগে খুব অসুস্থ ছিলাম আব্দুল্লাহ খবর সুনে রাতে আমার বাড়ি ফল সহ আমাকে ৫হাজার টাকা দিয়েআসে। সাংবাদিক আব্দুল্লাহ পারিবারিক ভাবে ধনাঢ্য মানুষ। তারা সব সময় অসহায় গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগীতা করেন। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক নন।
বোয়ালমারী থানার ওসি মো. গোলাম রসুলের বলেন, আব্দুল্লাহ কোন সাংবাদিক না সে হলেন ভুয়া সাংবাদিক,এবিষয় বোয়ালমারী থানার ইনচার্জ মোঃ গোলাম রাসিলের এর সংগে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা কলের যোগাযোগ করা যায়নি। ফরিদপুর সার্কেলে এসপির সেল ফোনে কলদিলে ফোন রিসিভ করেনি।