স্টাফ রিপোর্টারঃ–
আওয়ামী লীগ আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা শ্রমিক দলের পূর্বের কমিটি এবং জেলা শ্রমিক দলের কমিটিকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় এক নেতার সাক্ষরিত সারকের নতুন কমিটি বাগেরহাট শ্রমিকদলের দল প্রেমি তেগি নেতা কর্মিদের মাঝে এক আলোচনা সমালোচনার জন্মদিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২-১২-২৪ ইং তারিখে মো: ইউনুচ আলী শেখ কে সভাপতি এবং মোহাম্মদ রাজু খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট চিতলমারী শ্রমিক দলের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে একটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের একটি চিঠির মাধ্যমে পূর্বের কমিটির সভাপতি টিপু শিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী কে শ্রঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে নতুন কমিটি প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ।
এই নতুন কমিটির বিষয়ে কিছুই জানেন না বাগেরহাট জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আতিয়ার রহমান সর্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ শানু,এবং খুলনা বিভাগীয় মৌখিক দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতা কর্মিরা। যা এই নতুন কমিটিকে ঘিরে বাগের হাট জেলা জুরে খোঁদ দল প্রেমি নেতা কর্মিদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্মদিয়ে দিয়েছে, এতোদিন মামলা হামলার শিকার হওয়া চিতলমারী উপজেলার সকল ইউনিটের নেতা কর্মিদের মাঝে এক প্রকার চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া ৫ জনের ভিতরে ৪ জন চিতলমারী উপজেলাতে স্থায়ী ভাবে বসবাস না করে তারা পরিবার নিয়ে ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গাতে বসবাস করে বলে একটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটির বিষয়ে বাগেরহাট শ্রমিকদলের সভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার বলেন, চিতলমারী উপজেলা জুরে শ্রমিকদলকে সু সংগঠিত করতে গিয়ে বিগত দিনে টিপু সুলতান এবং এনামুল হক গাজী সহ পূর্বের কমিটিতে থাকা সকল নেতা কর্মিরা আওয়ামীলীগ স্বাসন আমলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলার সম্মুখিন হয়েছেন,তার পরেও এতোঅন্যায় জুলুম কে তোয়াক্কা না করে উপজেলা শ্রমিকদলকে সু সংগঠিত করেছে, বিগত সময়ে কমিটিতে থাকা সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক সহ সকলে আমাদের জেলা কমিটির সাথে যোগাযোগ অব্যহত রেকেছিলেন এবং তারা সকল প্রকার দলিয় দিক নির্দেশনা মেনে চলতেন। যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থ হিসেব করে দলিয় গঠন তদন্তকে অমান্য করে নতুন পকেট কমিটি দিয়ে থাকে তা হলে এটা পূর্বের কমিটির সাথে অন্যায় হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শানু বলেন, আমি শুনলাম চিতলমারী উপজেলা কমিটিকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই নতুন কমিটি প্রকাশ করেছে, যা আমরা জেলা শ্রমিক দল অবগত নয়।
এ বিষয়ে খুলনা মহানগর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন শুনেছি একক সাক্ষরিত চিতলমারী উপজেলার শ্রমিক দলের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে, পূর্বের কমিটিকে বিলুপ্ত না করে কি ভাবে নতুন কমিটি প্রকাশ করা হলো এ বিষয়ে যে কমিটিতে স্বাক্ষর করেছে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
চিতলমারী উপজেলার বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা কর্মিদের সাথে কথা বল্লে তারা জানান বিগত দিনে যারা জেল জুলুম নির্যাতন সহয্য করে শ্রমিকদলকে লালন করে গিয়েছে তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি প্রকাশ হওয়া মানে সু -সময়ে দল প্রেমি নেতা কর্মিদের দল থেকে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়ার সামিল।তারা আরো জানান যদি এই নতুন কমিটি অতি শিগ্রই বাতিল না করা হয়, তা হলে যে কোন সময় চিতলমারী উপজেলা শ্রমিক দলের নতুন এবং পূর্বের কমিটির মাঝে বড় ধরনের সংঘর্ষের রুপ নিতে পারে।
এ বিষয়ে চিতলমারী পূর্বের কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক গাজী বলেন, আমরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতোটা অন্যায় জুলুম অবিচার হামলা মামলা সহয্য করেও চিতলমারী উপজেলা শ্রমিক দলের রাজনীতি করেছি,তা বাগের হাট জেলা নেতা কর্মিরা ভালো বলতে পারবেন, আমাদের জেলা নেতা কর্মিরা যে ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সে ভাবেই শ্রমিক দলকে পরিচালনা করেছি।এই দল করতে গিয়ে অনেক মামলা খেয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছি, তার পরেও দলকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছি, দলের সু- সময়ে যারা আমাদের কমিটি বাদ দিয়ে নতুন পকেট কমিটি করেছে এবং যাদেরকে বর্তমানে স্থান দিয়েছে তাদের ভিতরে ১ জন ছাড়া কেউ এলাকাতে থাকেনা। তারা নতুন কমিটি এনেছে এই বিষয়ে জেলা শ্রমিকদল কিছু জানেনা, আমরা আমাদের নেতা কর্মিদের নিয়ে বর্তমান সময়েও জেলা শ্রমিকদলের নেতা কর্মিদের সাথে রাজনীতি পরিচালনা করে আসছি।