হাবিব রহমান সরোজগঙ্জ প্রতিনিধি:-
সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ-এর বিতর্কিত কাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচীর একটি আওয়ামী ঘেষা চিঠি গত বুধবার আলোচনা-সমালোচনার তৈরি করে। জানাগেছে, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাঙালির জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন ১৬ ডিসেম্বর। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় বাংলাদেশের মহান বিজয়। এ দিবসের প্রাক্কালে গর্বিত চিত্তে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিকামী জনগণের প্রতি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়ের প্রেরণাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত দিবসটি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালিত হবে। বিজয়ের এ চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ অনুষ্ঠানে আপনার সানুগ্রহ উপস্থিতি, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করছি।’
এদিকে, ওই চিঠিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আবু সালেহের বিরুদ্ধে সরোজগঞ্জ বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টারদিকে চৌরাস্তায় মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আর মুকুল, সদর থানা বিএনপিরর জয়েন্ট সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি ৩ আব্দুল মজিদ, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ উদ্দীন রুবেল।, প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস পঁচা, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি রায়হান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবনেতা রাজু আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ছাত্রদের সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান, ছাত্রদলের আরাফাত রহমান, এ প্রতিবাদ সভায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আর মুকুল বলেন ছাদেমাননেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ যে চিটি তৈরি করে বিলতন করেছে এর কোন ক্ষমা নাই কারন সে আওয়ামী লীগের সকল বিষয় বস্তু নিয়ে গুনগান করে নতুন নীল নকশা তৈরী করছে আমাদের একটাই দাবি আবু সালেহকে অপসারণ করতে হবে নয়তে কঠিক সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে জনগন,আরো বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, তিনি চিটিতে যে বাক্য গুলো লেখা ছিল সেই লেখা গুলো তুলে ধরে জনসাধারণের কাছে, তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ আওয়ামী লীগের দালালী করে শিক্ষক হয়েছে তার কোন যোগ্যতা নেই প্রধান শিক্ষক হওয়ার তাই আমি প্রাসনের কাছে দাবি জানাছি এই আবু সালেহ শিক্ষক নামে কলঙ্ককে চাকুরী থেকে অপসারণ করতে হবে।
এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ বলছেন, এই শিক্ষক সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এর আগে তাকে বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। এই ব্যক্তি এখনো আওয়ামী লীগের গুণগাণ করে চলেছেন।
ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ’র সাথে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরক্তবোধ করেন। তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবে কোন ইউনিট জানতে চাইলে তিনি বলেননি। আবার অসংলগ্নভাবে তিনি বলেন, চিঠিটা আমি করিনি। অফিস থেকে করেছে। পরে সংশোধন করা হয়েছে।
তবে, সরোজগঞ্জ এলাকাবাসীরা বলছেন, ওই প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন দলীয় আয়োজনে তার সরব উপস্থিতি ছিলো। তিনি অত্যন্ত রাগি প্রকৃতির মানুষ। তার আচরণের কড়া সমালোচনা হয়ে থাকে।