Crime News tv 24
ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝালকাঠি জেলা কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে থানায় আটকিয়ে রেখে মারধর করে মিথ্যা ডাকাতি মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে সাদা স্টাম্পের ওপর স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।

admin
ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪ ৬:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঝালকাঠিঃ

কাঠালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ উপ পুলিশ পরিদর্শক সেলিম রেজা,সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক আবুল কাসেম, সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ এর বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানার পাটিখালঘাটা ইউনিয়ন এর ঝোরখালী ৯ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা জনাব, জাকির জোমাদ্দার, পিতা মোঃ দেলোয়ার জোমাদ্দার অভিযোগ করেন যে, তাহার মধ্যে ও তার স্ত্রীরির মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়,গত ১৩/১২/২০২৪ ইং তাং রোজ শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের সময় এর পরে জুম্মার আজান দিলে আমি মসজিদে নামাজ আদায় করিতে যা-ই, নামাজ শেষে বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী বাসায় নেই যখন আমার স্ত্রী কে বাসায় দেখতে না পাই তখন তাকে ফোন করি যে, কই তুমি কোথায় গেলে তখন আমার স্ত্রীরির বোনের ছেলে মোবাইল নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করিতে থাকে এবং আমাকে বাড়িতে থাকতে বলে আমি যেন পালিয়ে না যাই এই কথা বলে ফোন কেটে দেন।

তারপর আমি অনেক বার ফোন করে খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু ফোন রিসিভ করেনি,পরে রাত ৯ টার দিকে আমি আমার বসতি ঘরে খাটের ওপর বসে ছেলেকে পড়াতে বসছি আর আমার মেয়ে খাবার খেতে বসছে এরমধ্যে কাঠালিয়া থানার এসআই সেলিম রেজা, এএসআই আবুল কাসেম ও এএসআই মাসুদ সাহেব আমার ঘরে প্রবেশ করে সাথে আমার স্ত্রী ও আমার স্ত্রীর বোনের ছেলে সাগর ঘরে ডুকে এসআই সেলিম রেজা বলেন তোর নাম কি জাকির জোমাদ্দার আমি বলি হা,এই কথা বলতে না বলতেই এসআই সেলিম রেজা আমাকে এলোপাতাড়ি চড়থাপ্পড় লাথি মারতে থাকে তখন আমার ১৮ বছরের মেয়ে ও ১২ বছরের ছেলে কান্না কাটি করে এসআই সেলিম রেজার পা জরিয়ে ধরে আমার মেয়ে যে,স্যার আমার বাবাকে মাইরেন না,তখন আমার বাড়ির লোকজন সহ প্রায় ২৫/জন লোক উপস্থিত ছিলেন তারা সকলে মিলে আমাকে না মারতে অনুরোধ করলে আমাকে মারা বন্ধ করে সকলের সামনে থেকে কিছুটা দুরে নিয়ে বলে ১ লক্ষ টাকা দিবি নয়তো ওসি মহোদয় তোকে ধরে নিয়ে ডাকাতি মামলায় চালান করে দিতে বলছে এই কথা শুনে আমি এসআই সেলিম রেজার পায়ে ধরে বলি স্যার কি বলেন আমি সাধারণ একজন মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় কড়ি জীবনে মানুষের গাছের একটা পাতাও না বলে ছিড়ে দেখিনি, তখন এসআই সেলিম রেজা আমার উপর আবার ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি মারতে থাকে তখন আমার মেয়ে বলে স্যার আমার আব্বু কে ছেড়ে দেন।

আমি টাকা বের করে দিচ্ছি তখন আমার ঘরে ৩১ হাজার টাকা একজনের কাছে থেকে কর্জ করে এনেছিলাম আমার মেয়ের বিবাহর কথাবার্তা চলছিল তার জন্য বাজার সদয় করার জন্য, সেই টাকা আমার মেয়ে এনে এসআই সেলিম রেজা সাহেব কে দেন তখন সেলিম সাহেব টাকা গুনে দেখে ৩১ হাজার টাকা আছে ৩০ হাজার টাকা সেলিম রেজা নিয়ে যায় আর বাকি ১ হাজার টাকা আমাকে দিয়ে বলে এটা রাখ সকালে গাড়ি ভাড়া দিয়ে থানায় আসবি এই বলে তাহারা চলেযায়, পরের দিন ১৪/১২/২০২৪ তাং শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমি থানায় যাই আমার মানিত স্বাক্ষীদের নিয়ে থানার গয়ে সেলিম স্যার কে বলি স্যার আমারতো আসছি তখন সেলিম সাহেব আমাকে ওসি সাহেবের কাছে নিয়ে যায় ওসি সাহেব আমকে নিয়ে গারদে ডুকরিয়ে রাখতে বলে এরপর

এসআই সেলিম রেজা আমাকে ডিউটি অফিসার এর রুমে বসিয়ে রাখে দুপুর ১ টা পরযন্ত ১ টার পরে আমাকে সেলিম রেজা ওসির রুমে নিয়ে যায় তখন ওসি আমাকে বলে কিরে ডাকাতি কর কতবছর ধরে আমি কোন কথা বলিনা তখন আবার বলে দেখছিস শালায় জাত ডাকাত তখন আমি বলছিকি বলেন স্যার আমি নিরীহ মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় কড়ি জীবনে আমি কোনদিন মানুষের গাছের একটা পাতাও ছিড়িনায় এই কথা শুনে ওসি সাহেব চেয়ার থেকে উঠে আমাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে একপর্যায়ে আমি ওসির রুমে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়িয়া যাই তখন একটা লাথি আমার মেরুদণ্ডে লাগে যাহা তাত্ক্ষণিক অনুভব করতে পারি নাই, এরপর ওসির রুমে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরা আমাকে আর না মারতে অনুরোধ করে তখন ওসি সাহেব এসআই সেলিম রেজা কে বলে শালাকে নিয়ে গারদে ঢুকিয়ে রাখ ।

আর পেন্ডিং ডাকাতি মামলায় চালান করে রিমান্ডের আবেদন কর,তখন ওসির রুমে থেকে এসআই সেলিম রেজা আমাকে বাহিরে এনে বলে ওসির জন্য হাজার ৫০ শে টাকার ব্যাবস্থা কর তাহলে আমি তোকে কোন মামলা না দিয়ে ছেড়ে দিব, তখন আমি সেলিম সাহেব এর পায়ে ধরে বলি কোথায় পাব টাকা স্যার যা ছিল তাতো আপনি সব নিয়ে আসছেন এই কথা শুনে এসআই সেলিম রেজা আমার উপর আবার ক্ষিপ্ত হয়ে বলে শালা তোকে চাই বাচাতে আর তুই চাস মরতে যা মর, তখন আমার ভাতিজা শওকত হোসেন সেলিম সাহেব কে হাতে পায়ে ধরে বলে স্যার আমি যা পারি টাকা সংগ্রহ করে দিচ্ছি আমার চাচাকে মাফ করে দিন তখন সেলিম সাহেব বলে যা দেখি কি নিয়ে আস,তারপর আমার ভাতিজা বাড়িতে গিয়ে দার করে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে সেলিম সাহেব কে দেন তখন সেলিম সাহেব বলে সরাসরি ওসি স্যারের কাছে দেন এই বলে আমাকে ওসির রুমে নিয়ে যায় আর ওসিকে সেলিম সাহেব বলে ২৫ পারছে তখন ওসি টাকাটা নিয়ে সেলিম সাহেব কে বলে দেখ কি করবা যাও নিয়ে যাও তারপর সেলিম রেজা আমার কাছে থেকে তিনটি সাদা স্টাম্পের ওপর স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন, আমি থানা থেকে বাড়িতে এসে ঘুমানোর কিছু ক্ষণের মধ্যে আমার মেরুদণ্ডে প্রচন্ড ব্যাথ শুরু হয় পরে ১৫/১২/২০২৪ তাং বামনা সাস্থকম্পেলেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।

এখন আমি ওসি এসআই সহ যারা আমার উপর নির্যাতন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি কোর্টে মামলা করবো সঠিক বিচারের আসায়, নিন্মে সকল ডকুমেন্টস সাবমিট করা হইলো।