কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ-
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দের ভাঙ্গামোড় গ্রামের গরিব অসহায় দিনমজুর আশরাফুল আলম(৩৮)। অর্থের অভাবে গরিব অসহায় আশরাফুল চিকিৎসা করাতে না পারায় নিভে যাচ্ছে তার জীবন প্রদীপ। দিনদিন তার অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তার অসহায়ত্ব সইতে না পেরে ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করে বাবা দিয়েছেন চিকিৎসা খরচ, বর্তমানে ভিটে বাড়ি ছাড়া নেই কোন জমি নেই কোন টাকা।
জানা যায়, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান লিভার বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোঃ জিয়া হায়দার বসুনিয়ার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়েছে, তার লিভার প্রায় সম্পূর্ণ অকেজো হওয়ার পথে। সাধারণ চিকিৎসায় এটা আরোগ্য হওয়া সম্ভব নয় দ। যদি কেউ আশরাফুলকে লিভারদান করে, কিংবা কোনো মরদেহ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর লিভার সংগ্রহ করে আশরাফুলের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলেই কেবল তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে ।
এক্ষেত্রে যার শরীর থেকে লিভার নেওয়া হবে তার রক্তের গ্রুপ আশরাফুলের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে হবে। দাতার শরীর থেকে এ লিভার শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হলে দুজনকে যেতে হবে ভারতে। কেননা, দেশে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয় । আর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে ব্যয় হবে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা। অথচ, অসহায় আশরাফুলের বাঁচার সাধ থাকলেও নেই সাধ্য , এত টাকা ব্যয় করার নেই কোন উপায়
।এর আগে আশরাফুল ঢাকায় দি ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন। আশরাফুল জানায়, এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সাহায্য পাই নি, এতদিনে যতটুকু চিকিৎসা হয়েছে সেটাও বাবার দেওয়া জমি বিক্রির টাকা দিয়ে, এখন বিক্রির মতো নেই কিছু। আশরাফুল ভারাক্রান্ত শুরে বলেন,এ পৃথিবীতে সবাই তো বাঁচতে চায়। আমিও বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার নেই আর কোন সম্পদ, নেই কোন অর্থ, নেই চিকিৎসা করার মতো ক্ষমতা। তাইতো আমি দেশবাসীর সহায়তা চাই। বিশেষত কোনো উচ্চবিত্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাকে সহায়তা করেন তাহলে হয়তো আমার জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবে ।বর্তমানে আশরাফুল অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় বাড়িতেই রয়েছেন। এবং দিনদিন আশরাফুলের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উল্লেখ্য, দুই সন্তানের পিতা আশরাফুল এক ছেলে ও এক মেয়ে।ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।