জেলা প্রতিনিধি:-
নেত্রকোনা জেলায় ১১ নম্বর ইউনিয়নের অবৈধ ভালো ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করতে জামাই পিস্তল নিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা।
ঘটনাটি ঘটে গত ৭ ডিসেম্বর নেত্রকোনা জেলার ১১ নম্বর কে কে গাতি ইউনিয়নে অভিযোগঅনুযায়ী: অভিযুক্তরা হলেন উদয় (২৫), পিতামৃত- বিপ্লব, সাং- নাড়িয়াপাড়া, ২। বোরহান (২৪) (মোবা:- ), পিতা- নাজিম উদ্দিন, সাং- নাড়িয়াপাড়া, ৩। ছদরুল (২২) (মোবা- পিতা- অজ্ঞাত, ৪। তামিম (২১) (মোবা- ৫। ফাহিম (২০), উভয় পিতা- কিরণ মিয়া, সাং- নাড়িয়াপাড়া, ৬। মেহেদী (২১), পিতা- বাশার মিয়া, সাং- গাবড়াগাতী, ৭। তরিকুল (৪৫), পিতা- অজ্ঞাত গং, থানা- নেত্রকোণা সদর, জেলা- নেত্রকোণা। ও সময়ঃ- ইং ০৭/১২/২০২৪ তারিখ, রোজ শনিবার, সময় অনুমান বিকাল ৫.৩০ ঘটিকায়। ঘটনার স্থান :- জৈনিক তরিকুলের বাড়ির সামনে নীদর পাড়। অভিযুক্ত গন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী তারা অবৈধভাবে নেত্রকোণা সদর থানাধীন উল্লেখিত ঘটনাস্থানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালু বিক্রয় করিয়া আসিতেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপরোক্ত উল্লেখিত ঘটনার স্থানে সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত হইয়া গোপনে সাংবাদিকগণ অবৈধ কার্যকলাপের সকল অবৈধ বালু বিক্রয় সহ সকল কিছুর ভিডিও ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী তা বুঝতে পেরে সকল সবাই মিলিত হয়ে একে ওপরের সহযোগিতায় ও যোগসাজোসে অবৈধ পিছল, দা, লোহার রড ইত্যাদি অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় ও এলোপাথারি বাইরাইয়া নিলা ফুলা জখম করে। এহেন অবস্থায় আশে পাশে থাকা লোকজন। সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।
সন্ত্রাসী উদয় বাহিনী এখানে কিছু করতে না পারিয়া সাংবাদিকদের খুন জখম করতে না পারায় সন্ত্রাসী উদয় একটি অবৈধ পিস্তল ও অন্যান্য দলবল নিয়া দা, লোহার রড দিয়ে মারমুখি হইয়া হুমকি দেয় যে, সাংবাদিকদের মোবাইলে ধারণকৃত অবৈধ কার্যকলাপের অডিও এবং ভিডিও তাদের না দিলে তারা খুন করে লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া সকল আসামীগণ ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায় এবং ঘটনাস্থল হইতে বের হয়ে সকলে রাস্তায় উল্লেখিত অস্ত্রাদি নিয়া ঘোড়াও করিয়া রাখে। ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন। ঘটনাস্থল বাড়ি ফেরার পথে কলমাকান্দা থানাধীন সিধলী কাচা বাজারস্থ রাস্তায় আটকে উদয়
হাতে থাকা একটি অবৈধ পিঞ্জল ও অন্যান্য সকল আসামীগণের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রাদি সাংবাদিককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করিয়া মোটর সাইকেল যোগে অন্য জায়গায় জোরপূর্বক তুলে নেয় । পরিহিত পেন্টের পকেট হইতে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা ও ১০০ সিসির প্লাটিনা মটর সাইকেলটি অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়া যায়। পরবর্তীতে আশেপাশে থাকা লোকজনের মাধ্যমে আসামীগণের কবল হইতে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। উল্লেখিত ঘটনার পর হইতে উদয়বাহিনী সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুন জখমে হুমকি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। বর্তমানে সাংবাদিকগণ বিবাদীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমতাবস্থায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। অতএব, উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে সদয় মর্জি হয়। এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলার সে দিলি ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা বললে , তিনি জানান, ঘটনার সততা পাওয়া গেছে, তারা প্রথমত অস্বীকার করলেও সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী আমরা গাড়ি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি, এ বিষয়ে, কলমাকান্দার অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।
এদিকে সন্ত্রাসী বাহিনী একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিকদের। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ গভমেন্টের সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বিপ্লব এর ছেলে, আমার পথ রোধ করে, ডিবি পরিচয় দেয়, মনে করেছিল আমার কাছে কোন অবৈধ কিছু আছে। এরকমভাবে গাড়ি আটকে, ওই সময় তারা চাঁদাবাজি করে। এদিকে ফুনের উপর ফোন করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী বাহিনীরা।