নিজস্ব প্রতিবেদক:-
চুয়াডাঙ্গার বহুরুপি চাঁদাবাজ আলমগীরের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে চাঞ্চল্যকরতথ্য দেওয়া শুরু করেছে গ্রামবাসী। একেরপর এক বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার পর এবার তার বিরুদ্ধে নিজের আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সর্ম্পক জড়িয়ে গর্ভপাত ঘটানোর মত জঘন্য তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যারনা,চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নারী ক্যালেকারীর মত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আলমগীরের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের কুমিল্লাপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারী আলমগীরের বিরুদ্ধে তার আপন ছোটভাই মালায়েশিয়া প্রবাসী মজিবুলের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে। দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ বছর যাবত আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ফলে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অন্তসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে পড়ে। এসময় বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে ধামাচাপা দেয় আলমগীরের বাবা শুকুর আলী। পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত না হলেও এলাকা জুড়ে মুখরোচক গল্পের সৃষ্টি হয়। এঘটনার পরপর আলমগীর নিজ এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় এবং প্রায় ৬ মাস পর এলাকায় ফিরে এসে মুখে দাড়ি রেখে নামাজি হওয়ার লেবাস ধরে। আলমগীরের এক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে বলেন, লম্পট আলমগীর লেবাসের আড়ালে পাড়ার মহিলাদের সুযোগ পেলেই কুপ্রস্তাব প্রদান করে। লম্পট আলমগীর গ্রামে একাধিক সংসার নষ্ট করে সর্বশেষ নিজের আপন ছোট ভাইয়ের বউয়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। লম্পট আলমগীরের নারী কেলেকারীর আরো ভয়াবহ তথ্য আছে যা লোক লজ্জার ভয়ে কেউই প্রকাশ করে না। ছোটশলুয়া কুমিল্লাপাড়ার এক চায়ের দোকানদার অভিযোগ করে বলেন, আলমগীর মাঝেমধ্যেই তার দোকানে চা খেতে আসতো। এরই মাঝে চায়ের দোকানদারের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। যা পরবর্তীতে আলমগীরের বাবাকে জানালে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। গত জানুয়ারী মাসে আলমগীরকে গ্রামের একজন দিনমুজুরে স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা ফেলায় গ্রামের এক নাবালককে মসজিদের টাকা চুরির মিথ্যা অপবাদ গিয়ে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে লম্পট আলমগীরের বিরুদ্ধে কুমিল্লা পাড়ার এতিম দুই বোনের পুকুর জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা আলমগীর ৫ই আগষ্ট পর হঠাৎ করেই জামায়াত বিএনপি সহ অনন্যা রাজনৈতিক দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চাদাঁবাজ আলমগীরের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে একই সাথে তারেকঐক্যফন্ট থেকেও তদন্তপূর্বক বহিস্কারের দাবি করেছে স্থানীয়রা।