মোঃ কাউছার পাটোওয়ারী বিশেষ প্রতিনিধি:-
কোঠা সংস্করণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগের রাজনীতি তে ওসমান পরিবারের সন্ত্রাসী হামলা এখনো গায়ে কাটাঁ বীধাঁর মতো বিদ্যমান। সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, এবং কি ফুলের মত শিশু গুলো ও তাদের হামলার শিকার হয়েছে। এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটানোর পরেও এখনো আজমেরী ওসমানের ছাত্র সমাজের সন্ত্রাসীরা দৃশ্যমান। হামলা মামলার পরেও কেউ কেউ রয়েছেন আত্মগোপন, কেউ আবার হচ্ছে সক্রিয়। জানা যায় কিছু বিএনপির লোকের হাত ধরেই তারা আবারো ফিরছে নিজ এলকায়। এমনি একজনের খোঁজ মিলেছে বর্তমানে। বিগত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা কালীন সময়ে তার দূর্নীতির শেষ নেই যানা যায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে আজমীর ওসমান ও তার মা পারভীন ওসমানের শেল্টারে অনেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা আশ্রয় খুঁজে নিয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। জাতীয় পার্টির যুক্ত থাকার সুবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্র সমাজের নামে গড়ে তুলেছিলো বিশাল এর সন্ত্রাসী বাহিনী। যাতের কাজ ছিলো সাধারন মানুষের জায়গা দখল নেওয়া ও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে চাঁদাবাজি করা তার সবটা নিয়ন্ত্রণ করতো পারভীন ওসমান। পারভীন ওসমানের নিয়ন্ত্রণে কুখ্যাত অপরাধী পিজা শামীমের নেতেৃত্বে ছিলে কয়েকশত ছিচকে সন্ত্রাসী। যাদের কাজ ছিলো পুরো নগরী দাবড়ানো । রাতুল মটরসের ফারুক এই আজমীর ওসমানের নাম ব্যবহার করে এবং তার এই চোরাই শত শত মটর সাইকেল দিয়ে নগরীর তান্ডবে অগ্রভাগে থাকতো রুপু সহ তার অনেক সহকারী ।
তবে নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্র সমাজের সভাপতি শাহাদত হোসেন রুপু ছিলো সেই সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম লিডার। পারভীন ওসমানকে সেই সন্ত্রাসী বাহিনী ই আম্মাজান খেতাব দিয়েছিল।
সূত্র জানিয়েছে, শহরের বালুর মাঠ এলাকায় ইসলাম হার্ট ফাউন্ডশেন এর সামনে তাদের অস্থায়ী কার্যালয় বানিয়ে রাত-দিন এখানে হোন্ডা বাহিনী নিয়ে আড্ডা দিতো এবং হার্ট ফাউন্ডেশন দখল করে রাখতো যাতে সাধারন মানুষ ঠিক মত চিকিৎসা নিতে পারতো না। আজমীর ওসমান ও তার মা পারভীন ওসমান হাত রুপু এর মাথার উপরে থাকায়,সেই আশীর্বাদেই বেপরোয়া হয়ে উঠে ছাত্র সমাজের সন্ত্রাসী শাহাদাৎ হসেন রুপু। তাদের অন্যতম কাজ হলো বিচার শালিশ করার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া। শহরের একাংশের চাঁদাবাজির টাকাও যেত তাদের পকেটে।
রুপু আজমীর ওসমান এর নাম ব্যবহার করে ইসদাইর এলাকায় গড়ে তুলে বিশাল এক বাহিনী যা নিয়ন্ত্রন করে তার আপন বড় ভাই অপু। ইসদাইর এলাকায় যে কোন ধরণের বাড়ি নির্মাণ কাজ করার আগেই সেখানে হাজির হন অপু বাহিনীর সদস্যরা।
তাদের দিতে হতো মোটা অঙ্কের চাঁদা । তবে চাদাঁবাজি, জমিদখল, বিচার শালিশ নামে তারা যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করতো এসব করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং বেশ কয়েকবার পুলিশ ও ডিবি পুলিশের আটক হন তারা। তবে গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার এর ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশ্যে দেশীও অস্ত্র হাতে সন্ধ্যায় মহরা দিতে দেখা যায় শাহাদাৎ হোসেন রুপু কে।এ সময় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে থাকা কিছু সংবাদ কর্মিদের উদ্দেশ্য করে রুপু বাহিনী বলেন কেউ ভিডিও করবি না, ভিডিও করলে হাতের কব্জি কেটে নিবো।এবং নেট বন্ধ থাকা কালিন সময়ে শাহাদাৎ হোসেন রুপুর নির্দেশে ছাত্রদের উপর হামলা চালায় ছাত্র সমাজ বাহিনী। গত ৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে এই সন্ত্রাসী রুপু।সময়ের সাথে সাথে গোপনে বি এন পির কিছু লোকের সাথে সমঝোতা করে ফের এলাকা মুখি হয়েছে সন্ত্রাসী রুপু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায় আজমীর ওসমানের বেশ কিছু অস্ত্র তার কাছে রয়েছে। যা আগামীতে আবার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।
এলাকা বাসী আরো বলেন আজিমেরি অন্যতম হোতা শাহাদত হোসেন রুপু কে গ্রেফতার করেলেই সকল অপরাধের তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব ।কিন্ত বর্তমানে আইন ব্যবস্থা রাঘববোয়াল নয় বরং চুনপুঠি দিয়ে জেলখানা ভরে ফেলছে। আমরা এলাকাবাসীরা আশা করব অতি দ্রুতই শাহাদাত হোসেন রূপকে আইনের আওতায় আনবে প্রশাসন।