হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:-
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কুলিয়াদাইড় গ্রামে বাবু সরদারের নেতৃত্বে অনন্ত রাজবংশীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম হন মৃত্তিকা রাজবংশী নামে এক গৃহবধূ। মৃত্তিকা রাজবংশী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের অনন্ত রাজবংশীর স্ত্রী। হামলায় বাকি আহতরা হলেন, অহনা রাজবংশী কল্পনা রাজবংশী ও চন্দনা রাজবংশী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত্তিকা রাজবংশীর স্বামী অনন্ত রাজবংশী বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত বাবু সরদারের ভাই বলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকেন বলে অনন্ত রাজবংশী অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্ত রাজবংশীর ছোট ভাই সুকুমার রাজবংশীর স্ত্রীর সাথে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এতে সুকুমারের স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয় ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি প্রদান করে।
এর কিছুক্ষণ পরেই বাবু সরদারের নেতৃত্বে স্থানীয় সামাদ, জাহাঙ্গীর, আশিস, মিলন, খোকন, ভগিরথ, হৃদয় ও জয় কৃষ্ণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেআইনিভাবে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বাড়িতে মহিলাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা গৃহবধূ মৃত্তিকাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে এছাড়া অহনা, কল্পনা ও চন্দনাকে মারধর করে ও পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে। পরে সন্ত্রাসীরা বেআইনিভাবে বসত ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবু সরদারের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।