মো.এমরুল ইসলামজেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ-
নরসিংদীর মনোহরদীতে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল এর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার কোচেরচর দাখিল মাদ্রাসা, তারাকান্দি টি,কিউ,এ,এইচ বালিকা দাখিল মাদ্রাসা,মনতলা ফাজিল মাদ্রাসার সর্বমোট ২০ জনের জাল সনদ প্রমানিত হওয়ায় ইনডেক্স বাতিল করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মনোহরদী উপজেলাতে বেশ আগে থেকেই ভুয়া নিবন্ধন ও জাল সনদের শিক্ষকের সয়লাব শুরু হলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেনি বরং কিছু অসাধু সাংবাদিক তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলনে তাদেরকে সহযোগিতা করে আসছিলেন। এ বিষয়গুলো বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম এর সভাপতি ও মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল এর নজরে এলে জাল-সনদ ও ভুয়া নিবন্ধন এর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে কলম যুদ্ধ শুরু করেন। এতে করে অনেক শিক্ষক নানা হুমকী-ধমকি দেওয়া শুরু করে এমনি কেউ কেউ অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে সভাপতিকে বশে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি মেধাবীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে জাল সনদে চাকুরীরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে জাল সনদ ও ভুয়া নিবন্ধনে চাকুরিরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর যাচাই-বাছাই করে উপজেলার কোচেরচর দাখিল মাদ্রাসার-৫ জন,তারাকান্দি টি,কিউ,এ,এইচ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার-৮ জন,মনতলা ফাজিল মাদ্রাসার-৫ জন,দৌলতপুর দাখিল মাদ্রাসার-২ জনসহ ২০ জন শিক্ষকের জাল সনদের প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মঙ্গলবার (১ জানুয়ারী -২৫) তাদের ইনডেক্স বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেন,মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিব ও সহকারী পরিচালক(অর্থ) মোঃশরিফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল বলেন,আমি সব-সময় সত্যের পক্ষে ছিলাম,আছি এবং থাকবো,যতো বাঁধাই আসুক না কেন,সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে লড়াই করে সচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত মনোহরদী গড়ে তুলবো। ইনশাআল্লাহ্