সাংবাদিক শিরিন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:-
অনেক ক্ষেত্রে ১ টাকাও না। কৃষকেরা একদম মাঠে মারা গেলো। ঢাকায় আমি ১৫ টাকার নিচে পাইনি। এর মধ্যে ৫-৭ টাকা করে পেলেও কৃষকেরা বেচে যেতেন কিন্তু এত লাভ তাদের করতে দেয়া হবেনা৷ লাভের গুড়টা ফড়িয়াদেরই৷ তবু নির্লজ্জ কৃষকেরা সামনের বছরও ফুলকপি চাষ করবে এবং মারা খাবে। যেহেতু কৃষিকাজ তাঁদের পেশা নয় বরং ডিএনএ প্রিন্টে লেখা প্রবৃত্তি তাই এই কাজ তাঁরা করবেই! যেমন করে গেছে তাঁদেএ পূর্বপুরুষ তারাও তেমন করতেই থাকবে।
এখন এই পূণপৌণিকতা থেকে বের হয়ে আসার উপার কি? অবশ্যই ফেয়ার এগ্রিকালচার প্র্যাক্টিস ও রপ্তানী। আপনি খেয়াল করে দেখবেন ইদানীং বাজারে বাঁধাকপি নাই। থাকলেও দাম কম না। মানে কমলেও ফুলকপির মত একেবারে ১-২ টাকায় নামেনা কখনো। এর কারণ বাংলাদেশ থেকে ক্যাবেজ বা বাঁধাকপি রপ্তানী হয়। তাই ফেয়ার এগ্রিকালচার প্র্যাক্টিসে না ফলানো বাধাকপিরও চাহিদা থাকছে(মিডল ইষ্টের বাজারে) ফুলকপি তেমন রপ্তানী হয়না বলেই এর দাম যখন কমে একদমই তা মাটিতে নেমে যায়!
এখনো টাইম আছে। কৃষি নিয়ে সবাই ভাবেন৷ শহরে মটর রিকসার ইজি মানির ফাঁদ পাতা৷ গ্রামেও আছে। একবার কৃষক পেশা বদলে ফেললে শুধু সে না, আপনি আমি সবাই না খেয়ে মরবো! সাবধান!