Crime News tv 24
ঢাকারবিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবীতে শ্রমিক সমাবেশ।

admin
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ১১:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মাহাবুব আলম স্টাফ রিপোর্টার:-

চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদর ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ৫ জানুয়ারী ২০২৫ থেকে ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত ৩ দিন বসুন্ধরা বারিধারাতে অবস্থিত জিপি হাউস এর সামনে শ্রমিক সমাবেশ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হল অবৈধভাবে চাকুরিচুত শ্রমিকদের চাকুরিতে পুনরবহাল, সকল প্রকার আইনি পাওনা পরিশোধ এবং শ্রমিক নির্যাতনে জড়িত কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবী জানানো। গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসর ও মিথ্যা অভিযোগ এর নামে ৩,৩০০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে এবং শ্রমিকের পাওনা লভ্যাংশের বিলম্ব জরিমানা ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধে অবহেলা করে চলেছে। তাছাড়া চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের স্বৈরা চার আওয়ামী সরকারের দোসর কতিপয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী মদতপুষ্ট ইউনিয়ন নেতারা অনৈতিক ও অমানবিক প্রক্রিয়া ব্যাবহার করে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করেছে 1

এই পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে চাকুরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ্ এর ব্যানারে গ্রামীণফোন এর শ্রমিকরা জিপি হাউস, বসুন্ধরা এর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে এসেছে।

শ্রমিকদের প্রধান ৩ দফা দাবি হলঃ

১. অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহাল এবং পূর্ণ আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতিপূরণ প্রদান।

২. সমস্ত বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধ, বিলম্বিত লভ্যাংশের পেনাল্টি-সহ।

৩. গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অত্যাচারের তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

আজকের কর্মসূচীতে শ্রমিক নেতারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এর রায় না মেনে ও হীন-স্বার্থে পুনরায় মামলা করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। দেশবাসীর কাছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রামীণফোন প্রচার করছে তারা দেশের সমাজে অর্থনীতিতে ও জনকল্যাণে মহান ভূমিকা রেখে চলেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিতাড়িত ফ্যাসিভ সরকারের সময়ে প্রায় ৩৩৬০ জন স্থায়ী শ্রমিককে নানা কৌশলে চাকুরিচ্যুত করেছে। একাজে তাঁদের সহযোগিতা করেছে চিহ্নিত স্বৈরাচারের দালাল যথা ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মুস্তাফা জব্বার, তারানা হালিম, জুনাইদ পলক প্রমুখ। দেশের আইন কে নগ্ন ভাবে হস্তক্ষেপ করে লাভজনক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হয়েও ৩৩৬০টি পরিবারকে অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই অন্যায্য ও অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের বিচারের জন্য তারা সরকারকে তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানান। কর্মসূচী শেষে বক্তারা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির অব্যহত রাখার ঘোষণা দেন।